ভিডিও

কাহালু পৌরসভা এলাকায় ড্রেন নির্মাণে ধীরগতি

হুমকির মুখে শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধসে পড়েছে আবাদি জমি

প্রকাশিত: মে ০৯, ২০২৪, ০৮:৪২ রাত
আপডেট: মে ০৯, ২০২৪, ০৮:৪২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার কাহালু পৌর এলাকায় কাহালু-দরগাহাট সড়কের পূর্ব পাশ দিয়ে ড্রেন নির্মাণের কাজ ধীরগতির কারণে হুমকির মুখে শিক্ষা-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি। এছাড়া ড্রেনের মধ্যে ধসে পড়েছে একটি ধানের জমির বেশকিছু অংশ। 

কাহালু পৌরসভার উপ-সহকারি প্রকৌশলী (ওয়াটার সুপার) শরিফুল ইসলাম জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে ১১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্পের মাধ্যমে কাহালু পৌর এলাকায় ৩টি স্থানে ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে ইসলামী ব্যাংক থেকে উত্তর দিকে ১০ ফুট গভীর প্রায় ১৩ ফুট প্রস্থ করে মেশিনের মাধ্যমে ড্রেন নির্মাণের জন্য মাটি খননের কাজ শুরু হয়। ঈদ-উল ফিতরের আগে ইসলামী ব্যাংক থেকে মাহমুদা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ড্রেনের প্রথম পর্যায়ের ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়।

ঢালাইয়ের পর দাবদাহ বয়ে গেলেও পানি দিয়ে ভালোভাবে কিউরিং করা হয়নি। ড্রেনের পাশের বাড়িঘরের দেয়াল ও প্রাচীর হুমকির মুখে রয়েছে। সবচেয়ে বেশি হুমকিতে রয়েছে কাহালু মাহমুদা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের প্রাচীর ও কামাল উদ্দিন কবিরাজের বাড়ির পশ্চিম পাশের প্রাচীর।

প্রাচীর দু’টি হেলে গেছে। অপরদিকে গত রোববার এক্সকেভেটর মেশিন দিয়ে ড্রেন নির্মাণের জন্য মাটি কাটার পরপরই কাহালু পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির উপকেন্দ্রের পাশে এবং শাহজাহান আলী কবিরাজের চাতালের উত্তর পাশের ধানের একটি জমির বেশকিছু অংশ ড্রেনের মধ্যে ধসে পড়ে। ড্রেন খননের কারণে ইসলামী ব্যাংক কাহালু শাখা থেকে সারাই পর্যন্ত নেসকো’র বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের প্রায় ৮টি খুঁটি হেলে পড়ায় আলাদা খুঁটি দিয়ে খুঁটিগুলোকে কোনভাবে রাখা হয়েছে। আবার কাহালু পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির উপকেন্দের পূর্ব পাশে সমিতির ৩৩ কেভিএ লাইনের ৪টি খুঁটি উপড়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

কাহালু উপজেলা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দুর রহমান সরকার বলেন, খুঁটিগুলো নেয়ার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে আবেদন করা হয়েছে। খুঁটি ৪টি ঝুঁকির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য পাশে ড্রেন নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

অপরদিকে ইসলামী ব্যাংক থেকে কাহালু পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপকেন্দ্র পর্যন্ত ড্রেনের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনাসমূহ নিজ উদ্যোগে তার মালিকরা সরিয়ে নিলেও এখন পর্যন্ত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের দক্ষিণ পাশের একটি স্থাপনা এখন পর্যন্ত অপসারণ করা হয়নি। উল্টো পৌরসভা কর্তৃক স্থাপনার লাল মার্ক করা অংশ না ভাঙতে নানাভাবে তদবির চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। 

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কাশফুন নাহার বলেন, ওয়ার্ক অর্ডারে চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে। 

বগুড়া জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া জানান, ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ করার জন্য তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। যদিও কাজ করার সময় শেষ হয়নি, যথাসময়ে কাজ শেষ হবে। 

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS