ভিডিও

পিকিং জাতের হাঁস পালনে লাভবান চাকরি ছেড়ে সোহাগ এখন উদ্যোক্তা

প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৪, ০৭:৪০ বিকাল
আপডেট: মে ১১, ২০২৪, ০৭:৪০ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : নিভৃত গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দা খন্দকার তৌফিকুর রহমান সোহাগ (৪৫)। ছাত্রজীবনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স শেষে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেলিন। এরই মধ্যে সেই চাকরি ছেড়ে গড়ে তুলেছেন পিকিং জাতের হাঁসের খামার। ইতোমধ্যে এই খামার করে মানুষকে তাক লাগিছেন তিনি।

সম্প্রতি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিণ দূর্গাপুরের সাতবিল নামকস্থানে দেখা গেছে এই হাঁসের খামার। সেখানে হাঁসগুলোর যত্নে ব্যস্ত ওই উদ্যোক্তা। খন্দকার তৌফিকুর রহমান সোহাগ উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের কিশামত শেরপুর গ্রামের খন্দকার আবু তৈয়বের ছেলে।

জানা যায়, সোহাগ এক সময় বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছিলেন। এরপর নিজেকে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। সেই স্বপ্ন থেকে ২০২০ সালে চাকরি ছেড়ে বাড়িতে ফিরেন। পরবর্তীতে বাড়ির পাশে সাতবিল নামকস্থানে নিজস্ব ১১ বিঘা জমিতে পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন।

এ থেকে অনেকটাই লাভবান হন তিনি। এরই একপর্যায়ে চলতি বছরে মাংস উৎপাদনের জন্য শুরু করেন পিকিং জাতের হাঁস পালন। উন্মুক্ত জলাশয়ে না, এসব হাঁস আবদ্ধ মাচা পদ্ধতিতে পালন করা হচ্ছে। প্রথমে সাড়ে ৩শ’ বাচ্চা পালন করে ৬৫ হাজার টাকা খরচ বাদে লাভ দাঁড়িয়েছে তার ৩০ হাজার টাকা। মাত্র ৪৫ দিন পালনের পর মাংস উৎপাদনের জন্য এসব হাঁস বিক্রি করেন।

এরপর থেকে আর কখনো পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। উৎপাদিত হাঁস বিক্রির লাভের টাকা দিয়ে তার সংসার চলছে। ইতোমধ্যে মানুষের মাঝে প্রিয় হয়ে উঠেছে এই হাঁসের মাংস। সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারী সার্জন ডা. আব্দুল্লাহেল কাফী বলেন, যে কোন কাজ পরিকল্পিভাবে করলে অবশ্যই সফল হওয়া সম্ভব।

এ উপজেলায় পিকিং জাতের হাঁসের খামার আর কোথাও নেই। উদ্যোক্তা সোহাগের খামারে গিয়ে পরামর্শ প্রদান করা হবে। যাতে তিনি আরও লাভবান হন সে ব্যাপারে সহযোগিতা থাকবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS