ভিডিও

বগুড়ায় চাহিদার তুলনায় কুরবানির পশু বেশি থাকলেও দাম নিয়ে শঙ্কা

প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৪, ১০:১৭ রাত
আপডেট: মে ১৩, ২০২৪, ১০:১৭ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : কুরবানি ঈদের বাকি এক মাসের কিছু বেশি। ঈদকে সামনে রেখে বগুড়ার খামারে খামারে প্রস্তুত করা হচ্ছে কুরবানির পশু। তবে গত বছরের তুলনায় এবছরও গো-খাদ্যের বাড়তি দামের কারণে প্রস্তুতকৃত পশুর প্রত্যাশিত দাম নিয়ে শঙ্কায় আছেন খামারিরা।

আবার কুরবানির পশুর দাম সাধ্যের মধ্যে না থাকলে সংকটে পড়বেন মধ্যবিত্ত কুরবানিরদাতারাও। এমন পরিস্থিতিতে কুরবানির পশু প্রস্তুতকারী ও কুরবানি দিতে আগ্রহীরা কিছুটা অস্বস্তিতে। এদিকে বগুড়ায় কুরবানির পশুর চাহিদার বিপরীতে প্রস্তুতকৃত পশু বেশি বলে জানিয়েছে বগুড়া জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস।

 জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস বগুড়া সূত্রে জানা গেছে, এবারের কুরবানির জন্য জেলার মোট ৪৮ হাজার ৪৫৩ জন খামারি তাদের পশু প্রস্তুত করেছেন। গত বছর খামারির সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার ৩২৯ জন। এক বছরে জেলায় খামারি বেড়েছে ৪ হাজার ১২৪ জন।

গত বছর কুরবানির জন্য পশু প্রস্তুত ছিল ৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৯৭টি, এবার তা ৭ হাজার ৮১৮টি বেড়ে প্রস্তুতকৃত পশুর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪১৫টি। প্রস্তুতকৃত পশুর সাথে এবার বেড়েছে কুরবানির পশুর চাহিদাও। গত বছর পশুর চাহিদা ছিল ৭ লাখ ৪ হাজার ৪৬০টি, এবার তা ৮শ’টি বাড়িয়ে চাহিদা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৫ হাজার ২৬০টি।

চলতি বছর জেলায় কুরবানির পশুর চাহিদার বিপরীতে প্রস্তুতকৃত পশু বেশি থাকবে ২৯ হাজার ১৫৫টি। কুরবানির জন্য প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে গরু রয়েছে ২ লাখ ৭ হাজার ৪১, মহিষ রয়েছে ২ হাজার ২৬৬টি। মোট গরু-মহিষ রয়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার ৩০৭টি। এছাড়াও ছাগল রয়েছে ৪ লাখ ২২ হাজার ২৫৭, ভেড়া ৩৯ হাজার ৮৫১টি। মোট ছাগল-ভেড়া রয়েছে ৪ লাখ ৬২ হাজার ১০৮টি।

জেলার অতিরিক্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাসরিন পারভিন বলেন, গত বছরের চেয়ে বগুড়ায় প্রস্তুতকৃত পশুর সংখ্যা বেড়েছে। এবছর জেলায় যে পরিমাণ কুরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে তার চেয়ে প্রস্তুতকৃত কুরবানির পশুর উদ্বৃত্ত রয়েছে ২৯ হাজার ১৫৫টি, যা গত বছরের চেয়েও বেশি।

তিনি আরও বলেন, আগের যেকোন সময়ের চেয়ে বগুড়ায় খামারি ও পশু প্রতিপালনের পরিমাণ বেড়েছে। জেলায় যে পরিমাণ কুরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে তার চেয়েও বেশি পশু প্রস্তুত থাকায় কুরবানিতে পশুর কোন সংকট হবে না।

প্রাণি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর স্টেরয়েড ও হরমোনজাতীয় ওষুধ ব্যবহারের ব্যাপারে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার করে পশু মোটাতাজাকরণের প্রবণতা নেই বললেই চলে। এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই দেশের বাজারে সব ধরনের গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। বাড়তি দামের কারণে এবারের পবিত্র ঈদ উল আযহার কুরবানির পশুর প্রত্যাশিত দাম নিয়ে শঙ্কায় আছেন পশু প্রতিপালনকারীরা।

খামারিরা বলছেন, প্রতিবছর গো-খাদ্যের দাম পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। বিশেষ করে গত এক বছরের ব্যবধানে পশুখাদ্য ভুসি, ধানের কুড়া, খৈল, খড়, ঘাসসহ অন্যান্য খাদ্যের দাম বেড়েছে। সব মিলিয়ে গড়ে প্রতি গরুতে খরচ বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। গত বছর ১শ’ কেজি ওজনের একটি গরু প্রস্তুত করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ করতে হয়েছিল এবার তা বেড়েছে, ফলে গত বছর কুরবানির পশুর হাটগুলোতে একই ওজনের গরু যে দামে বেচাকেনা হয় এবার তা স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে।

অপরদিকে সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশে (টিসিবি)’র তথ্য অনুযায়ী, গত চার বছরে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম বেড়েছে প্রায় ৪২ শতাংশ। বর্তমানে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮শ’ টাকা পর্যন্ত, যা চার বছর আগে ৫শ’ থেকে সাড়ে ৫শ’ টাকায় বিক্রি হয়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS