ভিডিও

রাণীনগরে অর্থাভাবে দুবাই থেকে স্বামীর লাশ আনতে পারছে না স্ত্রী

প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৪, ০৬:৪৫ বিকাল
আপডেট: মে ১৪, ২০২৪, ০৬:৪৫ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুবাইয়ে চার মাস আগে মারা যাওয়া রেমিটেন্স যোদ্ধা মিন্টুর (৪৩) লাশ অর্থাভাবে আনতে পারছে না তার অসহায় স্ত্রী পারভীন আকতার। মিন্টু নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের মৃত জামাল জদ্দারের ছেলে। দুই ভাই তিন বোনের মধ্যে মিন্টু সবার বড়।

জানা যায়, তিন বছর আগে কাশিমপুর চারাপাড়া গ্রামের মৃত অছির উদ্দিনের ছেলে অঞ্জু দালালের মাধ্যমে জীবন-জীবিকার তাগিদে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুবাইয়ে পাড়ি দেয়। সেখানে গিয়ে কথা মতো ভালো কাজ না পেলেও শুরুতেই দালালের খপ্পরে পরে মানবেতর জীবন-যাপন শুরু করে। এক পর্যায় অবৈধ ভাবেই তিন বছর ধরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করতো মিন্টু।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে দুবাইয়ে শেখ খলিফা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয় মিন্টু। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ ফেব্রুয়ারি মারা যান তিনি। ওখান থেকে তার পরিবারের কাছে মিন্টুর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হলেও অর্থের অভাবে প্রায় চার মাস অতিবাহিত হলেও তার লাশ বাংলাদেশে আনার কোন ব্যবস্থা করতে পারেনি তার অসহায় স্ত্রী পারভীন আকতার।

মিন্টুর মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকে তার বাড়িতে শোকের মাতম চললেও গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত দুবাই থেকে তার লাশ আনার কোন কুল-কিনারা করতে পারেনি এই অসহায় পরিবার। মিন্টুর স্ত্রী পারভীন আকতার বলেন, আমার স্বামীকে গত প্রায় তিন বছর আগে দুবাই নিয়ে যায় কাশিমপুর চারাপাড়া গ্রামের অঞ্জু দালাল।

কোন কাগজপত্র না থাকায় অবৈধভাবেই ছিলেন তিনি। আমার সাথে প্রায় সাড়ে ৪ মাস আগে একবার কথা হয়েছে। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ থাকায় কোন যোগাযোগ করতে পারিনি। গত ৯ মে আমরা জানতে পেরেছি সে ফেব্রুয়ারি মাসে মারা গেছে। আমাদের অভাবের সংসার।

লাশ নিয়ে আসতে প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ পড়বে। এত টাকা আমরা পাব কোথায়। প্রতিবেশীরা টাকা সংগ্রহ করতে যথেষ্ট সাহায্য সহযোগিতা করছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।

কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান বাবু বলেন, ঘটনাটি আমি জেনেছি এবং মিন্টুর পরিবারের সাথে স্বাক্ষাত করেছি। আমার পরিষদের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব খুব শিঘ্রই ওই পরিবারকে সহযোগিতার চেষ্টা করবো।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে তাবাসসুম বলেন, বিষয়টি আমি এই প্রথম জানলাম। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ সহযোগিতার আবেদন করেনি। যদি আবেদন করেন তাহলে আমার পক্ষ থেকে সহযোগিতার চেষ্টা করবো।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS