ভিডিও

সিরাজগঞ্জে বিক্রির জন্য প্রস্তুত ৬ লাখ কোরবানির পশু

প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৪, ১১:০৬ রাত
আপডেট: মে ১৪, ২০২৪, ১১:০৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

জয়নাল আবেদীন জয়, সিরাজগঞ্জ : আসন্ন কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার খামারে মোটা-তাজা করা হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ২৫ হাজার পশু। জেলার কোরবানির চাহিদা মিটিয়ে এসব পশু যাবে সারাদেশে। এর বাজারমূল্য প্রায় ২ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা। যা এখানকার গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা করবে।

দেশের গবাদিপশুর রাজধানী বলা হয় সিরাজগঞ্জ জেলাকে। এখানকার প্রতিটি উপজেলায় রয়েছে ছোট-বড় অসংখ্যা গবাদিপশুর খামার। আছে বিশাল মুক্ত গো-চারন ভূমি ও বাথান। খামার আর বাথানে প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা হয় লাখ লাখ গবাদিপশু। একসময় শুধু দুগ্ধই উৎপাদন করা হতো।

সময়ের পরিবর্তনে এখন খামারিরা দুগ্ধ উৎপাদনের পাশাপাশি বছরজুড়ে তাদের খামারে উন্নত জাতের বড় বড় গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া মোটা তাজাকরণ করছেন। এসব করে তারা ভাল টাকা আয় করছেন। প্রান্তিক খামারিদের দেখাদেখি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বড় পরিসরে বাণিজ্যিক পশু মোটাতাজা করণ খামার গড়ে উঠেছে। সেখানে হরেক রকম জাতের গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া মোটা তাজা করা হচ্ছে। এ খাতেও বিশাল বিনিয়োগ করেছেন খামারিরা।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, এখানকার ৯ উপজেলার ১৭ হাজার ১৩৪টি খামারে কোরবানির পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। যেখানে পশু রয়েছে প্রায় ৬ লাখ ২৫ হাজার। এর মধ্যে ষাঁড় গরু ১ লাখ ৭৩ হাজার ১১০টি, বলদ গরু ৩৩ হাজার ৬০৫টি, গাভী গরু ১৫ হাজার ৭১৭টি, মহিষ ৩ হাজার ৬৮১টি, ছাগল ৩ লাখ ৩৮ হাজার ২৩৫টি, ভেড়া ৬০ হাজার ৫৮০টি। প্রাকৃতি ঘাসের সাথে দানাদান গো-খাদ্য খাইয়ে এসব পশু মোটা তাজা করা হয়। যার কারণে এখানকার পশুর চাহিদা রয়েছে দেশ জুড়ে। কোরবানির আগে সেই চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সে কারণে খামারিরা বাড়তি যত্ন নিয়ে খামারের পশুগুলোকে মোটা তাজা করেন।

খামারের মালিক নাজমুল ইসলাম খাঁন জানান, প্রতি বছরই আমরা গরু মোটা তাজা করে কোরবানির ঈদে বিক্রি করি। এবারও করেছি। খামার থেকেই বেশিরভাগ গরু বিক্রি করি। আমাদের খামারে এবার দেড় লাখ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা দামের গরু রয়েছে। গো-খাদ্যের বেশি দামের কারণে আমরা এবার খুব একটা লাভবান হতে পারবো না।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকতা ডা. মো. ওমর ফারুক জানান, এ জেলায় প্রতিবছর কোরবানির ঈদে চাহিদার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি পশু মোটাতাজা করা হয়। প্রাকৃতিক উপায়ে এখানকার পশু মোটাতাজা করা হয় বলে দেশজুড়ে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই পশু বিক্রি করে খামারিরা বাড়তি আয় করে থাকেন। আমরা প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সব রকমের পরার্মশ এবং সহযোগিতা দিয়ে আসছি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS