বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এর উদ্যোগে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এতে বিএসটিআই’র অনুমোদনবিহীন এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত স্কিন ক্রিম (গৌরী, চাঁদনী, ডিউ, নূর প্রভৃতি)  বিক্রি-বিতরণ করায় কেশরহাট বাজারে অবস্থিত মেসার্স মসলেম ভ্যারাইটি স্টোরকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং নিষিদ্ধ পণ্যসমূহ জব্দ করা হয়। এছাড়া বিএসটিআই’র অনুমোদনবিহীন স্কিন ক্রিম, লিপস্টিক ও নেইল পলিশ বিক্রি করায় একই এলাকায় অবস্থিত মেসার্স মিজান স্টোরকে ৫ হাজার টাকা, মেসার্স শাওম স্টোরকে ৫হাজার টাকা ও মেসার্স দিনা স্টোরকে ৩হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং নিষিদ্ধ পণ্যসমূহ জব্দ করা হয়। 

উল্লেখ্য, মানবদেহে স্কিন ক্যান্সার সৃষ্টিকারী মার্কারির সর্বোচ্চ মাত্রা সংশ্লিষ্ট স্ট্যান্ডার্ডে ১.০০ পিপিএম এর নীচে রাখার কথা থাকলেও এসব নিষিদ্ধ ঘোষিত স্কিন ক্রিমে মার্কারির পরিমাণ পাওয়া যায় ১০০ থেকে ৭৩৭ পিপিএম। এছাড়া নিষিদ্ধ কেমিক্যাল হাইড্রোকুইনন-ও ব্যবহৃত হয় কিছু সংখ্যক স্কিন ক্রিমে। মূলত এই নিষিদ্ধ স্কিন ক্রিমসমূহ পাকিস্তান ও ভারতসহ বিশে^র বিভিন্ন দেশ হতে চোরাই পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মোহনপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার  রাজশাহী আয়শা সিদ্দিকার নেতৃত্বে পরিচালিত উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিএসটিআই বিভাগীয় কার্যালয়, রাজশাহীর কর্মকর্তা প্রকৌশলী জুনায়েদ আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন মোহনপুর থানা পুলিশ ও আনসার এর সদস্যবৃন্দ।

ভ্রাম্যমাণ আদালত শেষে কেশরহাট বাজার মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট নিষিদ্ধ ঘোষিত স্কিন ক্রিমের তালিকা সবার মাঝে বিতরণের জন্য সরবরাহ করা হয় এবং ক্রেতা সাধারণের মাঝে জনসচেতনতা তৈরির জন্য অনুরোধ করা হয়। খবর বিজ্ঞপ্তির।