ভিডিও

ধুনটে অনাবাদি জমিতে শখের আম বাগান বদলে দিয়েছে বাবুর জীবন

প্রকাশিত: মে ১৭, ২০২৪, ০৮:৩২ রাত
আপডেট: মে ১৭, ২০২৪, ০৮:৩২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বৃক্ষ তোমার নাম কি ফলে পরিচয়। আট মাস বয়সী চিয়াং মাই জাতের আম গাছটি দেখলে যেন মনে পড়ে এই প্রচলিত প্রবাদটি।

আম উৎপাদনের এমন চিত্র বগুড়ার ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নে ফকিরপাড়া গ্রামের সফল কৃষি উদ্যোক্তা আবু তাহের বাবুর (৪২) বাগানে। মাত্র ১০টি গাছ দিয়ে শুরু করা বাগানে বর্তমানে গাছের সংখ্যা ৭ শতাধিক। শুরুটা শখের বসে হলেও আম চাষ করে নিজের ভাগ্য বদলে ফেলেছেন তিনি।

উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের শামছুল হকের ছেলে আবু তাহের বাবু লেখাপড়া শেষ করে ১৯৯৮ সালে কাপড়ের ব্যবস্থা শুরু করেন। কিন্ত ব্যবসায় লোকসান হলে ২০০৪ সালে ব্যবসা ছেড়ে বাড়ির পাশে দুবলাগাড়ি খালের তীরে অনাবাদি জমিতে ফসল চাষ শুরু করেন। কিন্ত খালের তীরে বালুর আস্তরন পড়া জমিতে তেমন ফসল ফলেনা।

তাই বিকল্প চিন্তা করে ওই জমিতে মাত্র ১ হাজার টাকা খরচে আম গাছের ১০টি চারা লাগান। রোপনের এক বছর পর থেকে গাছে আম ধরতে শুরু করে। ১০টি গাছ থেকে প্রতি বছর ৩ হাজার টাকা করে আয় হতে থাকে। এরপর  পরিধি বাড়িয়ে ২০১৮ সালে ৩ বিঘা জমিতে আম বাগান গড়ে তোলেন। প্রতি বিঘায় গড়ে এক লাখ টাকা করে লাভ হয়। আম চাষে আশার আলো দেখেন তিনি। এরপর তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বানিয়েছেন সুন্দর বাড়ি। পাশের বাজারে দিয়েছেন একটি কীটনাশকের দোকান। 

আবু তাহের বাবু বলেন, বাগানে কাটিমন, ব্যানানা ম্যাঙ্গো, কিউজাই, আলফানসো, হানিডিউ, বারি ফোর, কারাবাউ, ক্ষীরসাপাত, আম্রপালি, সূর্য্য ডিম, চিয়াং মাই, মল্লিকা, মিশ্রিদানা, নিলাম্বরী, বারোমাসি, কাঁচামিঠাসহ ২০ জাতের ৭ শাতাধিক আম গাছ আছে। আমার লক্ষ্য একটাই, শুধু মৌসুমের কয়েক মাস নয়, যেন সব সময় মানুষ চাইলে আম খেতে পারেন।

দেশে সাধারণত মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত এ চার মাসকে আমের মৌসুম হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে এই বাগান থেকে বছরজুড়েই আম মিলবে। এবার ভাল ফলন হয়েছে। অনেকেই আগে থেকে অর্ডার দিয়ে রেখেছেন। চলতি মৌসুমে ৬ লাখ টাকার আম বিক্রয়ের আশা করছি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS