ভিডিও

জালে আটকা পড়লো মহাবিপন্ন বনরুই

প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৪, ০৭:৩২ বিকাল
আপডেট: মে ১৯, ২০২৪, ০৭:৩২ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের কচুগড়া গ্রামে প্লাস্টিক জালের সঙ্গে জড়িয়ে মহাবিপন্ন প্রজাতির একটি বনরুই ধরা পড়েছে। প্রাণীটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দ্রুত প্রাণীটিকে উপযুক্ত এলাকায় অবমুক্ত করা হবে বলে জানা গেছে।

 

শনিবার (১৮ মে) দিনগত রাতে বনরুইটি উদ্ধার করে অপরাধ দমন ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে শুক্রবার (১৭ মে) রাতে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য এনিমেলস অফ সুসংয়ের স্বেচ্ছাসেবকরা প্রাণীটি উদ্ধার করেন।

স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে ওই উপজেলার কচুগড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার বাড়ির পাশের একটি পুকুরে প্লাস্টিক জালে আটকা পড়ে বনরুই নামের বিরল প্রজাতির এ প্রাণীটি। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নজরে আসে সেভ দ্য এনিমেলস অব সুসংয়ের স্বেচ্ছাসেবকদের।পরে স্থানীয় লোকজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুদিন চেষ্টা চালিয়ে শুক্রবার রাতে প্রাণীটি উদ্ধার করেন স্বেচ্ছাসেবকরা।

 

তারা জানান, এ এলাকায় প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের বন্য প্রাণীর দেখা পাওয়া যায়। কিন্তু এমন অদ্ভুত আকৃতির প্রাণী আগে কখনো দেখেননি। প্রাণীটির দুই হাতে বড় বড় নখ, মুখ ও নাক অনেকটা লম্বাটে পিঠের পুরোটা অংশজুড়েই মাছের আঁশের মতো।

সেভ দ্য এনিমেলস অব সুসংয়ের সভাপতি রিফাত আহমেদ জানান, আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি পাহাড়ি সীমান্তবর্তী গ্রাম কচুগড়ায় এক বাড়িতে মহাবিপন্ন ও দুর্লভ প্রজাতির বনরুই ধরা পড়েছে।

বিষয়টি জানার পর আমরা বাবুল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করি। প্রাণীটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন। বাবুল মিয়া মূলত প্রাণীটিকে উচ্চমূল্যে বিক্রি ও চোরাচালানের উদ্দেশ্যে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় লুকিয়ে রাখেন।

পরবর্তীতে স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতায় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ওই গ্রামে বাবুল মিয়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রাণীটি উদ্ধার করা হয়।এ বিষয়ে দুর্গাপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী জাগো নিউজকে জানান, শুক্রবার রাতে সেভ দ্য এনিমেলস অব সুসংয়ের স্বেচ্ছাসেবকরা একটি বিরল প্রজাতির বনরুই উদ্ধার করে আমাদের কাছে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে শনিবার রাতে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের দুজন কর্মকর্তার কাছে প্রাণীটিকে হস্তান্তর করা হয়।

 

বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের জুনিয়র ওয়াইল্ড লাইভ স্কাউট কামরুল ইসলাম জানান, আমরা প্রথমে প্রাণীটিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাবো। চিকিৎসা শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যেই প্রাণীটিকে উপযুক্ত স্থানে অবমুক্ত করা হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS