ভিডিও

ধর্ষণ করতে বাধা দেওয়ায় ভাগনিকে হত্যা, মামার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৪, ০৯:০৪ রাত
আপডেট: মে ২১, ২০২৪, ০৯:০৪ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

কুমিল্লার চান্দিনায় সুবর্ণা মীম নামে ছয় বছর বয়সী শিশু মীমকে হত্যার দায়ে মামা ওমর ফারুককে(১৯) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার একটি আদালত।

মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) মো. জাহিদুল কবির এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ওমর ফারুক কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বেলাশ্বর গ্রামের মোস্তফা কামালের ছেলে। রায় ঘোষণাকালে সে আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল।মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান মজুমদার মামলার বিষয়ে বলেন, কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কোরবান আলীর ছয় বছর বয়সী মেয়ে সুবর্ণা মীমকে তার সৎমা লাভলি আক্তার পছন্দ করতো না। এ নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে লাভলি আক্তার চান্দিনার বেলাশ্বরে তার পিতার কাছে চলে যায়।

 
 

এরপর ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর লাভলি আক্তারের ভাই ওমর ফারুক যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে শিশু মীমের শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টাকালে বাধা দেয়। তখন সে ক্ষিপ্ত হয়ে মীমের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ গুম করে রাখে। একপর্যায়ে মীমের পিতার কাছে ওমর ফারুক মুক্তিপণ দাবি করে।পরদিন ৭ ডিসেম্বর সকালে চান্দিনা আর এন আর সিরামিক ফ্যাক্টরীর কাছাকাছি থানগাঁও খালের পশ্চিম পাড়ে সুবর্ণা মীমের গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করে। সে আদালতে হত্যার ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

পরবর্তীতে আসামি ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করে।মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে আসামি ওমর ফারুককে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS