কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে কাটাকাটির জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামী মোজাম্মেল হোসেন রাজুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালতের কাঠগড়ায় অনুপস্থিত ছিল। তিনি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শাটিষক গ্রামের নুরুন্নবী ওরফে নুর আলমের পুত্র।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী অতিরিক্ত পিপি এড. মো. আমিনুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পিপি এড. মো. নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, নাঙ্গলকোট উপজেলার পূর্ব দৈয়ারা গ্রামের আব্দুল আজিজের কন্যা খালেদা আক্তারের সঙ্গে ২০১৩ সালে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শাটিষক গ্রামের নুরুন্নবী ওরফে নুর আলমের পুত্র মোজাম্মেল হোসেন রাজুর বিয়ে হয়। বিয়ের বছর দুয়েক পরেই বেকার হয়ে পড়ে রাজু। এ নিয়ে সংসারে প্রায় কলহ চলতো।
২০১৫ সালে তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। বেকার স্বামীর সংসারে কলহ আরও বাড়তে থাকে। ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর মোজাম্মেল হোসেন রাজু তার শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে আসে। এরপর রাতে খাওয়া শেষে স্বামী-স্ত্রী ও শিশু সন্তান ঘুমিয়ে পড়ে।
সকালে স্ত্রী খালেদা গোসল শেষে তার স্বামীকে কাপড় ধুয়ে দেওয়ার জন্য বললে এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্বামী মোজাম্মেল হোসেন রাজু তার স্ত্রী খালেদাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ বাড়ির পুকুর ঘাটে ফেলে পালিয়ে চলে আসে।
এ ঘটনায় নিহত খালেদার ভাই মোবারক হোসেন কুমিল্লা নাঙ্গলকোট থানায় মোজাম্মেল হোসেন রাজুর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এরপর পুলিশ রাজুকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলে তিনি হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দেন।
পরবর্তীতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ ও শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদালত আসামি মোজাম্মেল হোসেন রাজুকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।