ভিডিও

শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীদের যৌন হয়রানি অভিযোগ

প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৪, ০৯:৪১ রাত
আপডেট: মে ২৫, ২০২৪, ০৯:৪১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

দিনাজপুরের বিরামপুরে এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ দিয়েছে স্কুলের একাধিক ছাত্রী। উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে ছাত্রীরা লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

 
 

আজ শনিবার দুপুরে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শ্রেণি কক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চলছে। বহিরাগত বেশ কিছু শিক্ষার্থী বিদ্যালয় ক্যাম্পসে ঘুরাঘুরি করছেন। কয়েকজন অভিভাবক সেখানে উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষক দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের ল্যাবের কম্পিউটারে আপত্তিকর ভিডিও দেখান এবং স্পর্শ করার চেষ্টা করেন। বিষয়টি ওই ছাত্রী বুঝতে পেরে সেখান থেকে বের হয়ে যায়।

এছাড়াও ওই বিদ্যালয়ের ধর্ম শিক্ষক ক্লাসের পড়ার বাইরে যৌন বিষয়ে আলোচনা করেন বলেও লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষক বলেন, দশম শ্রেণির ৪৫ জন শিক্ষার্থী আগমী বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবেন। আজ শনিবার থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রার্ক নির্বাচনী পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। ঘটনার দিন তাদের ইংরেজি বিষয়ে ক্লাস নিচ্ছিলাম এবং পরীক্ষার বিষয়ে আলোচনা করছিলাম।

সেই সময় শিক্ষার্থীরা জানান, এখন সরকার পরীক্ষা তুলে দিয়েছে। আপনাদের মনগড়া আইন, অল্প কিছুতেই টাকা নেওয়ার ধান্দা। বিষয়গুলো তাৎক্ষনিক বিদ্যালয়ের প্রধান ও সহপ্রধানকে অবহিত করি এবং শিক্ষার্থীদের বকাঝকা করেছি। এর বেশি কিছুই হয়নি।

তিনি বলেন, ‘সেদিন রাতে আমি জানতে পারি আমার নামে শিক্ষার্থীরা যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’

অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা কথা বলতে রাজি হয়নি। শিক্ষার্থীরা জানান, তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েছে। তিনি স্কুলে আসলে তার সঙ্গে কথা বলবে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলায় অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা। তদন্ত কমিটিতে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা কাওসার হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শমসের আলী মন্ডল এবং উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা লুৎফর রহমান রয়েছেন। তদন্ত কমিটি যে সিদ্ধান্ত দিবেন সেটিই আমি বাস্তবায়ন করব।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শমসের আলী মন্ডল বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS