ভিডিও

কেউ ঝুঁকিপূর্ণ ঈদযাত্রায় অংশ নেব না : হাইওয়ে পুলিশ প্রধান

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৪, ০৯:৪২ রাত
আপডেট: মে ২৭, ২০২৪, ১১:২১ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় ঘরমুখো যাত্রা আনন্দ ও স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা করছি। আনন্দ ও স্বস্তিদায়ক যাত্রা নিশ্চিতের দায়িত্ব সবাইকেই নিতে হবে। আমরা যেন স্বস্তির সঙ্গে আনন্দের সঙ্গে ঈদযাত্রা ও ফিরে আসতে পারি, সেজন্য আমরা কেউ ঝুঁকিপূর্ণ ঈদযাত্রায় শামিল হবো না, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন উপলক্ষে আজ রবিবার (২৬ মে) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখার লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত আইজিপি এ কথা বলেন।

শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঈদযাত্রায় এবার বেশ কয়েকটি বিষয়ে কঠোর থাকবে হাইওয়ে পুলিশ। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ঈদযাত্রা বন্ধ করা। যানবাহনের ওভার স্পিড এবার শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কোনো যানবাহন যদি নির্ধারিত গতিসীমা অতিক্রম করে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ঈদের সময় কোনো ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা মেনে নেওয়া হবে না। আপনারা নিজেরা ঝুঁকিপূর্ণভাবে যানবাহনে যাত্রী ওঠাবেন না। যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ, দুর্ঘটনা সম্পর্কে সচেতন হোন। জেনে-বুঝে গাড়ির ইঞ্জিনে-ছাদে উঠবেন না।

আমরা ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেল দিয়ে পেট্রল ডিউটি করে থাকি উল্লেখ করে হাইওয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, ‘ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করি। ঢাকাতে তো আছেই, মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সাব কন্ট্রোল রুম স্থাপন করে করা হবে। যেসব যানবাহন বিকল হবে, তাৎক্ষণিক সেটা সরানো ও সারানোর উদ্যোগ এবারও থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘ঈদযাত্রায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে অনিরাপদ যাতায়াত। যাত্রীরা যেভাবে পারেন উঠে-পড়েন, খোলা ট্রাকে, পিক-আপে, যানবাহনের ইঞ্জিনে; যা জীবনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

আবার আমাদের চালকরাও সুযোগ নিয়ে যাত্রী তুলে নেন। এক্ষেত্রে মালিক ও চালকদের সচেতনতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গত ঈদে ফিরতি যাত্রায় খোলা ট্রাক আর পিকআপের মধ্যে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গেল।’

 

ড্রোন দিয়ে যানজট, জটলা, বিকল গাড়ি খোঁজা হবে জানিয়ে শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘ঢাকা, গাজীপুর, সাভারে ঈদের আগে গার্মেন্টস ছুটি হওয়ায় বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। আমরা এবার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো, ড্রোন দিয়ে দেখবো, কোথায় কী হচ্ছে। কোথায় জটলা লাগছে। গার্মেন্টস কর্মীরা যাতে ঈদে স্বস্তিতে বাড়ি যেতে পারেন সেজন্য কারখানাতেই ব্যবস্থাপনা রাখতে হবে৷ কারখানাগুলোই যেন পরিবহনের ব্যবস্থা করে এবং যানবাহন ঠিক করে দেয়। এক্ষেত্রে শিল্প পুলিশ, কারখানা কর্তৃপক্ষ, মালিক-শ্রমিক সবাই সহযোগী হবেন।’

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খান, বিশেষ অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা। এছাড়া সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, ঢাকা বাস-ট্রাক ওনার্স গ্র“প, বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, পণ্য পরিবহন বিভাগ, বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনারস অ্যাসোসিয়েশন, বাস মালিক সমিতি, মহাখালী বাস টার্মিনাল, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS