ভিডিও

আদমদীঘিতে চাঁদা না পেয়ে আটক রেখে মারপিটে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ, মামলা

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৪, ১১:৩০ রাত
আপডেট: মে ২৭, ২০২৪, ০১:০৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘিতে দাবিকৃত চাঁদার ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে তহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মাদুর কারখানায় আটক রেখে অমানসিক নির্যাতনে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।

এই মারপিটের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্নভাবে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার আদমদীঘি উপজেলার পশ্চিম ছাতনি কামারপাড়া গ্রামের শরিফ উদ্দিনেরে ছেলে তহিদুল ইসলাম নিজেই মামলার বাদি গত ২৪ মে আদমদীঘি থানায় চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

মামলার এজাহারে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলো উপজেলার ছাতনি পশ্চিমপাড়ার আব্দুল আজিজের ছেলে ফারুক হোসেন (৩২). একই এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে তৌফিকুর রহমান নয়ন (৩৯), হবিবর রহমানের ছেলে ফিরোজ মোস্তফা কামাল বাবু (৫৩) ও সুজন (৪৩)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলার পশ্চিম ছাতনি কামারপাড়ার তহিদুল ইসলামের নিকট থেকে একই গ্রামের ফারুক হোসেন ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে মোবাইল ফোনে হুমকি ও ভয়ভীতি দিয়ে আসছিল।

তহিদুল তার চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা জানালে অপর আসামিদের যোগসাজশে গত ২৩ মে বেলা সাড়ে ১১টায় বাদি তহিদুল হেলালিয়া হাটে গেলে দুটি মোটরসাইকেলে বাদিকে তুলে নিয়ে বাবনাগাড়ী থ্রি স্টার মাদুর কারখানায় নিয়ে আটক রেখে আবারো চাঁদা দাবি করে। তাদের চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা লাঠি সোটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তহিদুলকে এলোপাথারিভাবে মারপিটে গুরুতর জখম করে তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

এসময় তার চিৎকারে জনসাধারণ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। আটক রেখে মারপিটের ২৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় গত ২৪ মে শনিবার নির্যাতনের শিকার তহিদুল ইসলাম নিজেই মামলার বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারি উপ পরিদর্শক তারেক রহমান জানান, একটি মোবাইল ফোন চুরিকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সুত্রপাত। আসামি গ্রেপ্তারে তৎপরতা চলছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS