ভিডিও

রাজধানীতেও রিমালের প্রভাব

প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২৪, ১১:১৭ দুপুর
আপডেট: মে ২৭, ২০২৪, ০১:০৫ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

 ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রাজধানীতে ভোর থেকেই দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার/ ২৪ ঘণ্টা) থেকে অতিভারী (২৮৯ মিলিমিটার/ ২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। অতিভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানান, রিমালের প্রভাবে সারা দেশেই কমবেশি বৃষ্টি হবে। ঢাকাতেও আজ রাতে বৃষ্টি হবে। বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস থাকবে। তবে উপকূলে বাতাসের যেমন গতি থাকে, এত বেশি থাকবে না।

দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ নাথ জানান, ‘রিমালের প্রভাব দেশে ২৮ তারিখ রাত পর্যন্ত থাকবে। স্থলভাগের তাপমাত্রা গত কয়েক দিন বেশি থাকার কারণে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলে এসেও শক্তি সঞ্চয় করতে পারে। ’

এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহা বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলেঅ ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।

এছাড়া, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদীবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর মহা নৌবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS