ভিডিও

কুড়িগ্রামে ক্রমেই বাড়ছে বিদেশি ফলের চাষ

পরিমাণে কম হলেও এবার সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছে আঙ্গুর

প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২৪, ০৯:২৫ রাত
আপডেট: মে ২৭, ২০২৪, ০৯:২৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : কুড়িগ্রাম জেলায় দেশি-বিদেশি ফলের চাষ ক্রমে বাড়ছে। পরিমাণে কম হলেও এবার সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছে আঙ্গুর। এসব আঙ্গুরের রং ও স্বাদ বিদেশ থেকে আমদানি করা আঙ্গুরের মতো হওয়ায় মিলেছে সফলতাও।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, কুড়িগ্রামের মাটি ও জলবায়ুতে আঙুরের ফলন  কেমন হয় তা বুঝতে নজরের রেখেছে কৃষি বিভাগ। ভালো ফলাফল পাওয়া গেলে জেলায় সম্প্রসারণের প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের উদ্যোক্তা আবু রায়হান ফারুক তার বাড়ির পাশে ২৩ বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন সম্বনিত ফলের বাগান। এই বাগানে রয়েছে শত শত জাতের আঙ্গুর, পাল্টা, কমলা, আপেল, আমসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ।

বাগানের ভিতরে ঢুকতেই  চোখে পড়ে রেডরোজ, হ্যালোইন, বৈকানুর, গ্রিন লং, আইসবার্গ, সুপারনোভাসহ উন্নত জাতের বাহারি রঙের আঙুরের থোকা লতায় লতায় ঝুলছে। তিনি পরীক্ষামূলকভাবে ২০২২ সালে এক বিঘা জমিতে আঙুরের চাষ শুরু করেন।

পরে ফলন ভালো হওয়ায় এ বছর দু’বিঘা জমিতে আঙ্গুর চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে আঙুরের ৪০টিরও বেশি জাত থেকে ফলন পেতে শুরু করেছেন তিনি। ফলনও বেশ ভালো হওয়ায় চলতি মৌসুমে আঙ্গুর বিক্রি করছেন ৪০০-৫০০ টাকা কেজি। আর আঙ্গুরের চারা বিক্রি করেছেন লক্ষাধিক টাকার। ফারুকের বাগান দেখতে প্রতিদিনই কৃষক ও দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন। অপরদিকে জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার গঙ্গারহাট গ্রামের কৃষক রুহুল আমিনও রাশিয়া, ইউক্রেন এবং তুরস্কের আঙ্গুর চাষ করেছেন দু’বিঘা জমিতে। তার বাগানে শোভা পাচ্ছে প্রায় ৪০ জাতের আঙ্গুর।

উদ্যোক্তা আবু রায়হান ফারুক বলেন, চাকরির পিছনে না ছুটে নিজেই কিছু করার মানসিকতা থেকে মিশ্র বাগান তেরি সিদ্ধান্ত নেই। আমার বাগানে দেশি-বিদেশি জাতের বিভিন্ন জাতের ফল রয়েছে। প্রায় দু’বছর আগে একবিঘা জমিতে আঙ্গুর চাষ শুরু করি। ভালো ফলন পাওয়ায় এবার দু’বিঘা জমিতে আঙ্গুর চাষ করেছি। ফলনও বেশ ভালো ও সুস্বাদু। এবার ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার আঙ্গুরের চারা এবং ফল বিক্রি করার লক্ষ্য মাত্রা রয়েছে।

ফুলবাড়ি উপজেলার গঙ্গারহাট এলাকার আঙ্গুর চাষি রুহুল আমিন বলেন, আমি এক বিঘা জমিতে আঙ্গুর চাষ করি। ফলন ভালো হওয়ায় এবার দু’বিঘা জমিতে আঙ্গুর চাষ করেছি। আগামীতে চার বিঘা জমিতে আঙ্গুর চাষের পরিকল্পনা রয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS