ভিডিও

জবির মসজিদে মধ্যরাতে ঘুমন্ত ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি

প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৪, ০৯:৪৯ রাত
আপডেট: মে ২৯, ২০২৪, ১২:২৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে মধ্যরাতে এক নারী শিক্ষার্থীকে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়ার ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে ইমামকে নামাজ পড়ানো থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

ঘটনা খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করার কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে একটি অংশ নারীদের জন্য আলাদা করা। ছাত্রীরা সেখানে নামাজ পড়েন। সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন সেই ছাত্রী।

ইমামের দাবি, তিনি ওই নারী শিক্ষার্থীকে দেখামাত্র প্রশাসনকে অবহিত করেছিলেন। এখানে তার কোনো অবহেলা ছিল না।

প্রক্টর জাহাঙ্গীর বলেন, “ইমাম সাহেব গত ১৫ মে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রীয় মসজিদে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে আমাকে জানান। সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমিটরিতে থাকা একজন সহকারী প্রক্টরকে ঘটনাস্থলে পাঠাই।

“ওই সময় মসজিদের ইমামকে ফোন দিলে তিনি ওই নারী শিক্ষার্থীকে কথা শিখিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলান। তা আমি আবার ফোনের অপরপাশ থেকে শুনতে পাই। তারপর উনাকে পরদিন প্রক্টর অফিসে আসার জন্য বলা হলেও তিনি আসেননি। ওই নারী শিক্ষার্থী ঘুমানোর আগে মসজিদের লাইট চালু ছিল, কিন্তু ঘুম থেকে উঠার পর সে দেখে লাইট বন্ধ। ফলে যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল। এখানে ইমামের দায়িত্বে অবহেলা ছিল, তাই তাকে নামাজ পড়ানো থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”


মেয়েটি মসজিদে ঘুমানোর কী ব্যাখ্যা দিয়েছে, জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, “সে বলেছে, ইবাদতের জন্য গিয়েছিল। তার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ে।”

এ ঘটনায় রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম লুৎফর রহমানকে আহ্বায়ক এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খালেদ সাইফুল্লাহকে সদস্য সচিব করে সোমবারবিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ঘটনার প্রায় ১০ দিন পর ইমামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে প্রক্টর জাহাঙ্গীরবলেন, “মসজিদের বিষয়, একটু স্পর্শকাতর। তাই প্রাথমিক তদন্ত ও আলোচনা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সময় লেগেছে।”


ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম ছালাহ্ উদ্দীন বলেন, “আমি ওই ছাত্রীকে চিনতামও না। মসজিদের ভেতরে একজন মেয়ে শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন জেনে আমি সাথে সাথে প্রক্টরকে ফোন দিয়ে জানিয়েছিলাম। আমার মনে কোনো খারাপ চিন্তা থাকলে মেয়েটিকে দেখতে পেয়েই আমি প্রশাসনকে অবগত করতাম না। এখন তারা দায়িত্ব অবহেলার অজুহাত দেখিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আমাকে অপসারণ করেছে।”

এর আগে মসজিদের পাশে বহু বছরের পুরনো একটি বড় কাঠলিচু গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছিল ছালাহ্ উদ্দীনের বিরুদ্ধে। প্রশাসনের কাউকে না জানিয়ে রাতের আঁধারে গাছটি কাটেন তিনি।

লিচু পাড়ার জন্য বাচ্চারা ঢিল দেওয়ায় এবং তাতে মসজিদের টিনে শব্দ হওয়ায় তিনি গাছ কাটেন বলে দাবি করেন। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক ট্রেজারারের অনুরোধে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS