ভিডিও

তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফার্মাসিস্ট দিয়ে চিকিৎসাসেবা প্রদান

প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৪, ১১:১৩ রাত
আপডেট: মে ২৮, ২০২৪, ১১:১৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

এমএ বাসেত, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় মেডিকেল অফিসার এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় ফার্মাসিস্ট দিয়ে বহিঃবিভাগে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে।

হাসপাতালের পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্যানুযায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০০৫ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসার, জুনিয়র কনসালটেন্ট ও সহকারী সার্জনসহ ২৮জনের পদ বিদ্যমান।

কিন্তু ২৮ জনের স্থলে মেডিকেল অফিসার আছে ৩ জন এরমধ্যে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভার.) পদে একজন নিয়োজিত। বর্তমানে আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ মোট ২৩ জন চিকিৎসের পদ শূন্য। এরমধ্যে জুনিয়র কনসালটেন্ট (ইএনটি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (চক্ষু), জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন), জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থো), জুনিয়র কনসালটেন্ট(কার্ডিও), জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনেসথেসিয়া), জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু), জুনিয়র কনসালটেন্ট (যৌন ও চর্ম) এবং সহকারী সার্জন (ইএমও), সহকারী সার্জন (প্যাথোলোজী), সহকারী সার্জন (এনেসথেসিয়া), এমও (হোমিও/আর্য়ুবেদিক) চিকিৎসকের পদ কয়েকবছর ধরে শূন্য রয়েছে।

ফলে ২জন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের পাশাপাশি ফার্মাসিস্টদের দিয়ে জরুরী বিভাগ ও আন্তঃবিভাগে চিকিৎসাসেবা প্রদান করছে। দেশের সর্বোত্তরের তেঁতুলিয়া উপজেলায় প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় মেডিকেল অফিসার ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে।

পরিসংখ্যানের তথ্য মতে, হাসপাতালে বহিঃর্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৩ শতাধিক রোগী এবং জরুরী বিভাগে ৫০ থেকে ১০০জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। জরুরী বিভাগে আসা রোগীর মধ্যে ২০ থেকে ২৫জন আন্তঃবিভাগে ভর্তি থাকেন। কিন্তু হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত না হওয়ায় ভর্তি রোগীদের বেডের সংকুলান হয় না।

ফলে অনেক রোগীকে বারান্দার ফ্লোরে থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে হয়। তেঁতুলিয়া হাসপাতালে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার (ওটি) থাকলেও গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, এনেসথেশিয়া চিকিৎসক, সার্জারি চিকিৎসক না থাকায় অনেক অন্তঃস্বত্তা মা’কে জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।

একইভাবে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র তিরনইহাট, কালান্দিগঞ্জ ও ভজনপুরে মেডিকেল অফিসার (এমবিবিএস) নাই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এএসএম রুহুল আমিন বলেন, হাসপাতালে বেশিরভাগ মেডিকেল অফিসারে পদসহ গুরুত্বপূর্ণ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ শূন্য থাকায় বিপুল সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসাসেবা প্রদানে হিমশিম খেতে হচ্ছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS