ভিডিও

নোয়াখালীতে ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ দুই প্রার্থীর ভোট বর্জন

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৪, ০১:২৫ দুপুর
আপডেট: মে ২৯, ২০২৪, ০৪:২৯ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

মফস্বল ডেস্ক: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই শাহাদাত হোসেনসহ (টেলিফোন) দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

অপর প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল (দোয়াত কলম)।বুধবার (২৯ মে) দুপুর ১২টায় ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দখল, জাল ভোটসহ এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তারা।

দুই প্রার্থীর অভিযোগ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার ছেলে ও ভাগিনারা কেন্দ্র দখলে নিয়ে ব্যালটে সিল মারছেন। মেয়র আবদুল কাদের মির্জাও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্যবসায়ী গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুলকে (আনারস) সমর্থন দিয়ে ভাইসহ অন্যদের বিরোধিতা করে আসছেন।

ওবায়দুল কাদেরের ভাই শাহাদাত হোসেন বলেন, মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে আমার সকল এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে আনারসে সিল মারা হচ্ছে। আমার ২০ জন কর্মীকে আহত করেছে মেয়রের হাতুড়ি বাহিনী। পুলিশ তাদেরকে অনৈতিকভাবে সহযোগিতা করছে। আমি এ ভোট বর্জন করে বাতিলের দাবি করছি। এজন্য প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।মিজানুর রহমান বাদল বলেন, কোনো কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি কাদের মির্জার লোকজন। তারা ভোটারদের বাধা দিয়ে কেন্দ্রে আসতে দিচ্ছে না। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এলাকায় এমন ভোট কারো কাম্য নয়। আমরা প্রহসনের এ নির্বাচন বাতিল চাই। এখানে প্রশাসন নিরপেক্ষ নয়। পুলিশ আনারসের পক্ষে সিল মারতে সহযোগিতা করছে। বিষয়টি আমরা জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানিয়েছি।অভিযোগের বিষয়ে জানতে ফোন করা হলে রিসিভ করেননি কাদের মির্জা। তবে তার ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাশিক জাগো নিউজকে বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশকে অশান্ত করতে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। বরং দোয়াত কলমের লোকজন হামলা চালিয়ে আনারসের কর্মী চরএলাহী ইউনিয়নের রাজ্জাক চেয়ারম্যানের ভাই আবদুল আজিজ খোকনসহ সাতজনকে কুপিয়ে জখম করেছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, কোম্পানীগঞ্জে ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু আছে। যদি কেউ সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ করেন তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, কেউ অভিযোগ দিতেই পারেন। নির্বাচনে পরিবেশ যা থাকার তাই আছে। কোনো কেন্দ্রে অনিয়ম হলে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS