ভিডিও

মারা গেলেন প্রসূতি সুমি ডাক্তারদের শাস্তির দাবি

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৪, ০৬:৫১ বিকাল
আপডেট: মে ২৯, ২০২৪, ০৬:৫১ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁয় এক প্রসূতির সিজারের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও পেটে গজ রেখেই সেলাই করে দেয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুইবার আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সেই প্রসূতি নারী সুমি খাতুন (৩৫)।

মৃত্যুর খবর জানার পর সুমির পরিবারে ও গ্রামে শুরু হয়েছে শোকের মাতম। অভিযুক্ত ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিকের বিচার দাবি করেছেন প্রতিবেশী ও স্বজনরা। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও এখনও প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি। এর মাঝেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন সুমি।

সুমির পরিবার ও ক্লিনিক সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ মে সকালে প্রসব ব্যথা শুরু হলে শহরের হাসপাতাল রোড এলাকায় অবস্থিত একতা ক্লিনিকে নেয়া হয় ওই প্রসূতি নারীকে। সেখানে ওইদিনই সিজার করান প্রসূতিবিদ্যা ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন ডাক্তার তানিয়া রহমান তনি।

সিজারের জন্য জেনারেল অ্যানেস্থেসিয়া প্রয়োগ করেন ডাক্তার তানিয়ার স্বামী নওগাঁ সদর হাসপাতালের অ্যানেসথেসিওলজিস্ট ডাক্তার আদনান ফারুক। সিজারের পরই সুমি তার পেটে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন এবং প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। ডাক্তার তানিয়া ক্লিনিকের মার্কেটিং অফিসার আব্দুর রউফকে দিয়ে দ্রুত রোগীর পেটে সেলাই করিয়ে নেয়।

তারপর রাত ১০টার দিকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয় সুমিকে। হাসপাতালে নেয়ার পর রাতেই পরীক্ষা করে জানা যায় সুমির পেটে বাড়তি কিছু একটা জিনিস রয়েছে।

সেই সাথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় আর সেটার জন্য তাকে পরদিন সকালে পরিবারের সম্মতিতে ফের অপারেশন করা হয়। এর ১৩ দিন পর মারা যায় সুমি। সুমির এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে জেলার আত্রাই উপজেলার সন্নাসবাড়ী গ্রামে।

অভিযুক্ত ডাক্তার তানিয়া রহমান তনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে চাই না। প্রয়োজনে ডাক্তারদের সংগঠন বা সিভিল সার্জন এর সাথে কথা বলতে পারেন। আমার যা বলার আমি কিছুদিন আগে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দিয়েছি। আর রাজশাহীতে সুমিকে নিয়ে যাওয়ার পর কি হয়েছে সে বিষয়ে আমি অবগত নয়।

এ বিষয়ে কথা হলে সিভিল সার্জন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। এছাড়া রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক স্যারকে বিষয়টি নিয়ে চিঠিও দিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS