ভিডিও

বগুড়ায় কোরবানীর পশুর হাটে ক্রেতা আনতে শুরু করেছে ব্যাপারীরা

কেন্দ্র মহাস্থান হাট

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৪, ১১:১৯ রাত
আপডেট: মে ২৯, ২০২৪, ১১:১৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : পবিত্র ঈদ-উল আযহার এখনো প্রায় তিন সপ্তাহ বাকি থাকলেও বগুড়ার বিভিন্ন হাটগুলোতে কোরবানীর পশু আসতে শুরু করেছে। অন্যদিকে গরু ছাগলের দাম গত বছরের চেয়ে বেশি বলে মন্তব্য করেছেন ক্রেতারা।

চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে জুন মাসের ১৬ অথবা ১৭ তারিখে ঈদ উল আযহা হতে পারে। ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠতে শুরু করেছে বগুড়ার কোরবানির পশুর হাট। আজ বুধবার (২৯ মে) উত্তরাঞ্চলের অন্যতম  কোরবানীর পশুর হাট ছিলো মহাস্থান হাট।

এই হাটে প্রতিবছর উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু ছাগল নিয়ে আসেন বিক্রেতারা। বগুড়ার অন্যান্য হাটের চেয়ে এই হাটে গরুর আমদানী বেশি বলে ক্রেতারাও ছোটে এই হাটে। আজ বুধবার (২৯ মে) কোরবানির পশুর মধ্যে গরুর আমদানী ভাল হলেও ছাগল ছিলোনা বললেই চলে।

ছাগলের ক্রেতাও কম ছিলো। গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম কিছুটা বেশি বলে মন্তব্য করেছেন ত্রেতারা। তাদের মতে গত বছর যে গরুর দাম ৮০ হাজার টাকা ছিলো এ বছর সেই গরুর দাম ৯০ থেকে ৯২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস বিক্রি করে, হাটে গরু কিনতে আসা এমন একজন কসাই আফজাল জানান, গরুর দাম বাড়ার কারণেই মাংসের দাম বেড়েছে। তিনি জানান, গত বছর এমন সময় গরুর মাংস ছিলো ৬শ টাকা কেজি এবার মাংসের দাম ৭৫০ টাকা কেজি।

গরুর দাম একটু বেড়েছে। তিনটি গরু বিক্রি করতে আসা সবুজ মিয়া জানান, পশু খাদ্য‘র দাম বেড়েছে। খড়ের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। গো খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে গরুর দাম বেড়েছে। আরেক বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি রংপুর থেকে গরু কিনে এনে বগুড়ার বিভিন্ন হাটে বিক্রি করেন। রংপুর থেকে বগুড়ায় এনে বিক্রি করলে গরু প্রতি ২ থেকে ৩ হাজার টাকা লাভ হয়। তবে আগে লাভ আগে বেশি হতো। এখন ট্রাকে চাঁদা দেওয়ার কারণে খরচ কিছুটা বাড়ে।

কোরবানীর জন্য গরু কিনতে গিয়ে হতাশ হয়েছেন বগুড়া শহরের মো. মাবলু।  তিনি বলেন প্রতিবছর তিনি এক থেকে দেড় মাস আগে গরু কেনেন। যাতে কম দামে কিনতে পারেন কিন্তু এবার দাম বেশি। গত বছর যে গরু ৮২ হাজার টাকায় কিনেছিলেন এই হাটে সেই গরুর দাম লাখ টাকা। তিনি ৭৭ হাজার টাকায় একটি গরু কিনেছেন।

হাটের ইজারাদার গরুপ্রতি ৭৫০ টাকা করে ইজারার ছাপ আদায় করছেন। শুধু ক্রেতা নয় বিক্রেতাদের কাছ থেকেও এই হাটে ১৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে হাসিল আদায়ের জন্য গরু প্রতি ৫শ টাকা এবং ছাগল প্রতি ১৫০ টাকা করে নেওয়া কথা থাকলেও গরু প্রতি ক্রেতা বিক্রেতাদের কাছ থেকে সব মিলিয়ে ৯০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।

যা সরকার নির্ধারিত টাকার চেয়ে ৪শ টাকা বেশি। এ ব্যাপারে ইজারাদারের লোকজন কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS