ভিডিও

দুপচাঁচিয়ায় জ্যৈষ্ঠের প্রচন্ড তাপদাহে তৃষ্ণা মেটাচ্ছে তালের শাঁস

প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৪, ০৯:০২ রাত
আপডেট: মে ৩১, ২০২৪, ০৯:০২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : দুপচাঁচিয়া উপজেলায় জ্যৈষ্ঠের প্রচন্ড তাপদাহে তালকুচ বা তালের শাঁস খেয়ে সাধারণ মানুষ তৃষ্ণা মেটাচ্ছে। উপজেলায় জ্যৈষ্ঠের মাঝামাঝি রিমালের প্রভাবের ফলে বৃষ্টিতে আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা হলেও গত দু’দিন ধরে আবারও তাপদাহ বেড়েছে।

ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ট পড়েছে। এ সময় বাইরে বের হলেই তৃষ্ণা মেটানোর জন্য খাবারের তালিকায় তালশাঁস বা তালকুচ অন্যতম। দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় দরিদ্র ও শ্রমজীবি মানুষের কাছে এই  খাবারটি বেশ প্রিয়। উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে এ সময় প্রচুর পরিমানে তালশাঁস বা তালকুচ বিক্রি হতে দেখা যায়।

আজ শুক্রবার (৩১ মে) উপজেলা কাঁচা বাজার এলাকার তালশাঁস বা তালকুচ বিক্রেতা সঞ্জয়পুর গ্রামের আখেরের ছেলে খোকন (৪০), মেইল বাসস্ট্যান্ড এলাকার শহিদুল মন্ডলের ছেলে আলমগীর হোসেন (৪৪) জানান, প্রতি বছরের মতো এবারো তারা তালকুচ বিক্রি করছেন। বর্জ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকারিভাবে তালের চারা রোপণের নির্দেশনাবলি রয়েছে।

তাই আগের মতো আর তালশাঁস বা তালকুচ পাওয়া যায় না। এর মাঝেও জ্যৈষ্ঠর পুরো এক মাস এই তালকুচ বেচা-কেনা করা হয়। ব্যবসায়ীরা জানান, বিভিন্ন এলাকায় ৬-৭শ’ টাকার চুক্তিতে তাল গাছ কেনা হয়। প্রতিটি গাছে প্রায় ৫ থেকে ৬শ’ টি তালুকচ থাকে।

পরে তা কেটে ভ্যানে করে বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় বিক্রি করা হয়। প্রতিটি তালশাঁস বা তালকুচ আকার ভেদে ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হয়। এতে গড়ে প্রতিদিন তারা ১ থেকে দেড় হাজার টাকা আয় করে। তারা আরও জানায়, প্রচন্ড গরমে শিক্ষার্থীরা ছাড়াও সাধারণ মানুষ তাদের তৃষ্ণা মেটাতে এই তালশাঁস বা তালকুচ ক্রয় করে থাকে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS