ভিডিও

বেড়ায় গো-৩ খাদ্যের চড়া দামের প্রভাব পড়তে পারে কোরবানির হাটে

প্রকাশিত: জুন ০২, ২০২৪, ০৭:৩৩ বিকাল
আপডেট: জুন ০২, ২০২৪, ০৭:৩৯ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

আবুল কালাম আজাদ, বেড়া (পাবনা) : পাবনার বেড়া উপজেলায় কোরবানির হাটকে সামনে রেখে পশু প্রস্তুত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন খামারিরা। কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য নিয়মিত পশুর যত্ন নিচ্ছেন তারা। এবছর গো-খাদ্যের মূল্য বেশি হওয়ার কারণে এবার লাভ নিয়ে শংকিত আছেন তারা।

এছাড়া কোরবানির হাটেও গো-খাদ্যের বেশি দামের প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে পাবনার বেড়া উপজেলা দেশের অন্যতম গরু পালনকারী এলাকা বলে পরিচিত। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বেড়া উপজেলায় এবার কোরবানির উপযোগী গরুর সংখ্যা প্রায় ৩৪ হাজার ৫১৫টি, মহিষ ৬২৩টি এবং ছাগল ৪৪ হাজার ৫৪২টি ও ভেড়া ৬ হাজার ৯৫৯টি।

অর্থ্যাৎ সব মিলিয়ে এবার এ উপজেলায় কোরবানির উপযোগী গবাদিপশুর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৬৩৯টি। তবে খামারিদের সংগঠন ও গরু ব্যবসায়ীদের মতে এ উপজেলায় কোরবানির উপযোগী গবাদিপশুর প্রকৃত সংখ্যা কমপক্ষে ১ লাখ। এবারের কোরবানির হাটকে সামনে রেখে নিবন্ধিত খামারগুলোর বাইরে উপজেলার অসংখ্য পরিবার গরু-ছাগল পালন করেছে।

পরিবারগুলো অল্প দামে ছোট বাছুর কিনে এক থেকে দেড় বছর সেগুলো লালন-পালন করেছে। স্থানীয়সহ দেশের বিভিন্ন এলাকার গরু ব্যবসায়ীরা ঈদ-উল-আযহার অন্তত এক মাস আগেই উপজেলার বিভিন্ন বাড়ি ঘুরে কোরবানির গরু কিনতে শুরু করেছেন। ব্যবসায়ীরা এসব গরু কিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য তুলবেন।

খামারি ও গরু ব্যবসায়ীরা জানান, গত একবছর ধরে গোখাদের দাম বাড়তে বাড়তে তা নাগালের বাইরে চলে গেছে। এর ওপর কোরবানির হাটকে সামনে রেখে এই দাম আরও বাড়ছে।

বছর খানেক আগে থেকে ভুষি, কাঁচা ঘাস, খড়, খৈল, চিটাগুড়, ধানের কুড়া, খুদসহ সব ধরনের গোখাদ্যের দামই বাড়ছে। বেশির ভাগ গোখাদ্যের দামই আগের তুলনায় দেড় থেকে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এর ফলে এবার গরু পালনে পালনকারীদের খরচ ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন তারা।

উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বড় পশুরহাট বলে পরিচিত বেড়া পৌর করমজা চতুরহাটে গিয়ে দেখা যায়, হাটে গরুর আমদানি তুলনামূলকভাবে কম এবং গরুর দামও কিছুটা চড়া। হাটে থাকা গরুর ব্যাপারী ও হাট কমিটির সদস্যরা জানান, গোখাদ্যের অস্বাভাবিক দামের কারণে এবার খামারিদের গরু পালনের খরচ অনেক বেড়েছে।

ফলে হাটে গরু এনে পালনকারীরা বেশি দাম চাইছেন। আবার বেশির ভাগ খামারি ও ক্ষুদ্র পালনকারীরা কোরবানির সামনে দাম আরও বাড়তে পারে ধারণা করে হাটে এখন গরু আনছেন না। তাই হাটে গরুর আমদানি কম।

বেড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, গত বছরগুলোর তুলনায় বেড়ায় এবার কোরবানির পশুর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি। উপজেলায় এবারের কোরবানির জন্য সব মিলিয়ে ৪৪ হাজার ৬৪৭টি গবাদিপশুর চাহিদা থাকলেও পালন করা হয়েছে ৮৬ হাজার ৬৩৯টি।

অর্থ্যাৎ ৪১ হাজার ৯৯২টি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে। উদ্বৃত্ত পশুগুলো ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাবে। চড়া গো-খাদ্যের কারণে এবার খামারিদের গবাদিপশু পালনে ব্যয় অনেক বেড়েছে। তাই উপযুক্ত দাম না পেলে খামারিদের লোকসান হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS