ভিডিও

দুপচাঁচিয়ার গোবিন্দপুর হাইস্কুল বন্ধ দিয়ে মাঠে হচ্ছে মেলা

অভিভাকদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া

প্রকাশিত: জুন ০২, ২০২৪, ০৮:১১ রাত
আপডেট: জুন ০২, ২০২৪, ০৮:১১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় বন্ধ দিয়ে আজ রোববার (২ জুন) স্কুল মাঠে মেলা বসানো হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার অভিভাবকদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের শেরপুর মৌজার গুচ্ছগ্রাম এলাকায় থলের মেলা প্রকাশ্য ডাকের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাত আরা তিথি স্বাক্ষরিত পত্রে নিলাম ডাকের আহ্বান করেন।  সাতজন ডাকে অংশগ্রহণ করেন।

সর্বোচ্চ দরদাতা রাজু আহম্মেদকে ৯৫৫০ টাকায় শর্ত সাপেক্ষে ১ দিনের জন্য মেলার অনুমতি প্রদান করেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন মল্লিক জানান, উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের শেরপুর মৌজার গুচ্ছগ্রাম এলাকার থলের মেলাটি এলাকার শত বছরের ঐতিহ্য। এই মেলাকে কেন্দ্র করে মেলা সংলগ্ন ১৫টি গ্রামে বার্ষিক আনন্দ উৎসবের সৃষ্টি হয়।

মেয়ে জামাইরা মেলার টানে এলাকায় ছুটে আসেন। যুগ যুগ ধরে এই রীতি চলে আসছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল শত বছরের এই ঐতিহ্য নষ্ট করে থলের মেলাটি স্থান পরিবর্তন করে গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানান্তর করেছে। বিদ্যালয় বন্ধ করে এলাকার প্রাচীন ঐতিহ্য এই থলের মেলাটি বিদ্যালয়ের মাঠে বসানো হয়েছে।

এ ঘটনায় এলাকার গ্রামবাসীর মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টিও হয়েছে। এদিকে স্কুল ছুটি দিয়ে মাঠে মেলা বসানোয় এলাকার অভিভাবকদের মাঝেও ক্ষোভের দানা বেঁধেছে। এ বিষয়ে মেলা ডাককারী রাজু আহম্মেদ জানান, শেরপুর মৌজার ওই থলের মেলার স্থলে জায়গা সংকট না হওয়ায় এবং যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় এলাকাবাসী মেলাটি গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বসিয়েছে।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার শীল জানান, প্রভাবশালী মহল সকাল থেকেই বিদ্যালয় মাঠে মেলা বসানোর জন্য বিভিন্ন দোকান পাট স্থাপন করে মালামালের পসড়া সাজিয়ে বসেন। লেখাপড়ার পরিবেশ বিঘ্ন ঘটার আশংকায় তার হাতে সংরক্ষিত এক দিনের জন্য বিদ্যালয়টি ছুটি ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাত আরা তিথি জানান, তিনি শেরপুর মৌজার থলের মেলার জন্য প্রকাশ্যে নিলাম ডাকের মাধ্যমে ১ দিনের জন্য ইজারা দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের মাঠে মেলা বসানোর কোন অনুমোদন দেন নাই। এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS