ভিডিও

ভাঙ্গুড়ায় প্রয়োজন ছাড়াই চলছে খাল খনন

প্রকাশিত: জুন ০২, ২০২৪, ০৯:০২ রাত
আপডেট: জুন ০২, ২০২৪, ০৯:০২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার ভাঙ্গুড়ায় অপ্রয়োজনীয় খাল খনন করে সরকারি ১০লাখ টাকা অপচয়ের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের পুঁইবিল গ্রামে কালিকাদহের জোলা নামের এই খাল খনন করছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)।

বিএডিসির এমন খামখেয়ালিপনার কারণে এলাকার কৃষকরা সরকারি টাকা অপচয় রোধে এই খাল খনন বন্ধে গতকাল রোববার উপজেলা বিএডিসি কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছেন। কৃষকরা এই খাল ভরাট করে ফসল পরিবহনের উপযোগী করতে দাবি জানিয়ে আসছেন।

জানা যায়, ভাঙ্গুড়া উপজেলার গুমানি নদী থেকে কালিকাদহের জোলা খাল দিয়ে ভাঙ্গুড়া সদর ও দিলপাশার ইউনিয়নের পুঁইবিল, কৈডাঙ্গা ও বাওনঞ্জান মাঠে বন্যার পানি প্রবেশ করত এবং নিষ্কাশন হতো। কৃষকরা ফসল চাষাবাদে এই খালের পানি ব্যবহার করতেন। কিন্তু আশির দশকের শুরুতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী থেকে রাজশাহীর চারঘাট পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়।

এই বাঁধ নির্মাণের ফলে সে সময় গুমানি নদীর মুখে কালিকাদহের জোলা খাল ভরাট করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই সাথে এই খালের এক কিলোমিটার উত্তরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে স্লুইস গেট ও মাঠের মধ্যে পানি ঢোকার জন্য নতুন খাল নির্মাণ করা হয়।

এই স্লুইস গেট দিয়ে এই অঞ্চলে বন্যার পানি ঢোকে ও নিষ্কাশন হয়। এতে খালটি অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে কৃষকরা এই খাল ভরাট করে ফসল পরিবহনের উপযোগী করার দাবি জানিয়ে আসছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, কালিকাদহের জোলা খালের পশ্চিমপাশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কারণে পানি প্রবেশ করে না। খালের পূর্বপাশে বাওনঞ্জান খাল বর্ষা মৌসুম ছাড়া অন্য মৌসুমে পানিশূন্য থাকে। ফলে খালটি ফসল চাষাবাদের সময় পানিশূন্য থাকায় কোনো কাজে আসে না কৃষকের।

এরপরও জেলা বিএডিসি অফিসের উদ্যোগে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে পাবনার ঠিকাদার আব্দুল খালেক নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে এই অপ্রয়োজনীয় খালটি খনন করা হচ্ছে। ৮শ’ মিটার দৈর্ঘ্য এই খালের এক চতুর্থাংশ খননকাজ এরই মধ্যে শেষ করেছে ঠিকাদার।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS