ভিডিও

অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা,  যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: জুন ০৫, ২০২৪, ০৬:১৪ বিকাল
আপডেট: জুন ০৫, ২০২৪, ০৬:১৪ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার চান্দিনায় অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় তানভীর আহমেদ (৩২) নামে এক যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী সেলিম মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।  গত মঙ্গলবার রাতে চান্দিনা উপজেলার বাড়েরা ইউনিয়নের গড়ামারা গ্রামের আক্কাস আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে নিহত তানভীরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত তানভীর আহমেদ উপজেলার গনিপুর গ্রামের বাবুল ভূইয়ার ছেলে। তিনি বাড়েরা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চান্দিনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোরশেদ।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর দাবি, মঙ্গলবার গভীর রাতে যুবলীগ নেতা তানভীর তার ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তার স্বামী সেলিম স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে তানভীরের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পরে ঘরে থাকা লাঠি দিয়ে তানভীরের মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
হত্যার ঘটনাটি রহস্যজনক দাবি করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আহসান হাবিব ভূইয়া জানান, হত্যাকান্ডটি সন্দেহজনক। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখলাম, জায়গাটি খুবই ঘনবসতিপূর্ণ, বাড়িতে কোনো উঠান নেই। বাড়ির পাশের মানুষ ঘটনাটি জানবে না সেটা হতে পারে না। এ বিষয়ে স্থানীয় কোনো মানুষ মুখ খুলছে না।
তবে নিহত যুবলীগ নেতা তানভীরকে পরিকল্পিতভাবে তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে তার মা নিলুফা বেগম জানান, ওই নারী মিথ্যা কথা বলছেন। আমার ছেলেকে হত্যার জন্য নাটক সাজিয়েছেন। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
পুলিশ জানায়,  হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে বুধবার সকালে গড়ামারা গ্রামের গিয়ে নিহত তানভীরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল যেখানে সেই এলাকাটি খুবই ঘনবসতিপূর্ণ।  তারপরও এই হত্যাকান্ড নিয়ে স্থানীয় কেউ কিছুই জানেন না। নিহত যুবলীগ নেতা তানভীরের বিরুদ্ধে অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
ওসি আহমেদ সনজুর মোরশেদ বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী সেলিমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। স্থানীয় মানুষেরা মুখ খুলছে না। তদন্তের পর ঘটনার মূল রহস্য জানা যাবে। 

 

‘গুন্ডা’ বলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করলেন আ’লীগ নেতা
বরিশাল প্রতিনিধি:
বরিশালের গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার হামলায় আরিফুল ইসলাম কাজল নামে ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা রক্তাক্ত জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পিঙ্গলাকাঠি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। 
কাজল (৩৫) সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের প্রাক্তন সহসভাপতি। 
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম এইচ এম ফিরোজ মিয়া মুকুল। তিনি পিঙ্গলাকাঠি বাজার কমিটির সভাপতি ও নলচিড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। উপজেলা নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমানের ( মোটরসাইকেল) সমর্থক হিসেবে পরিচিত। অপরদিকে মনির হোসেন মিয়া (কাপ-পিরিচ) নামে অপর এক প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছেন কাজল। 
কাজল অভিযোগ করে বলেন, তিনি মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে পিঙ্গলাকাঠি বাজারের একটি খাবারের হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় মুকুল তাঁকে দেখে কাপ-পিরিচ মার্কার গুন্ডা বলে কটূক্তি করে। তিনি এর প্রতিবাদ করায় তাঁকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মুকুল। খবর পেয়ে স্বজনরা সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাসায় ফিরেছেন।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে এইচ এম ফিরোজ মিয়া মুকুল বলেন, তিনি কাজলের ওপর হামলা করেননি। বরং কাজল তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে তিনি আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনি গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। 
এদিকে কাজলের ওপর হামলার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS