ভিডিও

উলিপুরে কালভার্ট ভেঙে চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৪, ০৮:১০ রাত
আপডেট: জুন ১০, ২০২৪, ০৮:১০ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের উলিপুরে একটি রিং কার্লভাট ভেঙে ফেলায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রায় ৬মাস আগে নতুন ব্রিজ করার কথা বলে কালভার্টটি ভেঙে ফেলা হয়। শুষ্ক মৌসুমে খানাখন্দ পারি দিয়ে যাতায়াত করা গেলেও, বর্ষা মৌসুমে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন ওই পথে যাতায়াতকারী আটগ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ।

জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে জাইকার অর্থায়নে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস বর্ধিতকরণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের অধীনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর আওতায় সড়কের মাটি ভরাট, প্রশস্ত ও এইচবিবি'র কাজ হাতে নেওয়া হয়। এ লক্ষ্যে গত ২০২২ সালের ২৪ মে সড়ক উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করা হয়।

উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের দাঁড়ারপাড় সবদুলের মোড় হতে মণ্ডলপাড়া হয়ে রিয়াজ উদ্দিন সরকারের বাড়ির সামনে পর্যন্ত ৩৩০০ মিটার রাস্তার কাজ শুরু হয়। একটি সূত্র জানায়, কাজটি পান নোয়াখালীর মোস্তফা অ্যান্ড সন্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

পরে সাব ঠিকাদারি নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রঞ্জন মজুমদার ভোলা। কাজের শুরু থেকে নানা অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও দায়িত্বরত ব্যক্তিদের ভূমিকা ছিল গা ছাড়া।

এমনকি এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজুদ্দৌলার কাছে তথ্য চাইলে তিনি বলেন, অফিসে অনেক কাজ, এই মুহূর্তে তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। আগামী ১৩ তারিখের পর তথ্য দিতে পারবেন বলে জানান তিনি। এছাড়া জাইকা প্রকল্পের কারও সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাতিয়া ভবেশ বগাপাড়া এলাকায় নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রায় ২২ বছর আগের পুরনো একটি কালভার্ট ভেঙে ফেলা হয়। সেখানে ৮-১০ ফুট গর্ত করা হয়। কালভার্ট ভেঙে ফেলা হলেও মানুষের চলাচলে কোনো সংযোগ সড়ক করা হয়নি।

স্থানীয়দের উদ্যোগে অন্যের জমি দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে কোমর সমান পানি হওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারীরা।

হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শায়খুল ইসলাম নয়া বলেন, আমি ব্রিজটি নির্মাণের জন্য ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করছি। খুব শীঘ্রই ব্রিজের কাজ শুরু করবে বলে জানান তিনি।

কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সরকার বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পুণরায় মেয়াদ বৃদ্ধি নকরা হয়েছে। শুনেছি সেটিরও মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে।

প্রকল্পটি ঢাকা থেকে মনিটরিং করায় আমাদের কাছে তেমন তথ্য নেই। তবে জনদুর্ভোগের বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানের সমন্বয়ে সেটি নিরসন করা দরকার। কেননা সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানরা এই প্রকল্পে সাথে জড়িত।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS