ভিডিও

বগুড়ার ফতেহ আলী ব্রিজের পশ্চিমে রাস্তা দখল করে দোকান করায় মানুষ পাড়াপাড়ে বিঘ্ন ঘটছে

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৪, ১১:০৬ রাত
আপডেট: জুন ১০, ২০২৪, ১১:০৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া শহরের করতোয়া নদীর উপর নির্মাণাধীন শাহ ফতেহ আলী ব্রিজের পশ্চিমে রাস্তায় ফলের দোকানের কারণে সাধারণ মানুষের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটছে। নির্মাণাধীন ফতেহ আলী ব্রিজের ম্যাটেরিয়ালস্ রাখা হয়েছে রাস্তা জুড়ে। কাজের স্বার্থে রাস্তায় রডসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ রাখার পাশাপাশি রাস্তার প্রবেশ মুখে এখন ফলসহ বিভিন্ন পণ্যের দোকান বসানো হয়েছে।

সাধারণ মানুষের চলাচলের মুখে দ্কোান বসানোর ফলে ওই পথ দিয়ে চেলোপাড়া যাতায়াত করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। পূর্ব বগুড়ার তিনটি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ প্রতিদিন বগুড়া শহরে প্রবেশ করে এই সরু পথ দিয়ে। ব্রিজটি দীর্ঘ দিন ধরে নির্মাণাধীন থাকায় পূর্ব বগুড়ার মানুষ হাপিয়ে উঠেছে। আর মানুষের যাতায়াতের জন্য যে বাঁশের সাঁকো করা হয়েছে তাও নড়বড়ে হয়ে গেছে।

শহরের চেলোপাড়া এলাকার আবু জাফর জেমস জানান, মানুষের যাতায়াতের জন্য এক বছরের বেশি সময় করা আগে বাঁশের সাঁকোটি নড়বড়ে হয়ে গেছে। তা ছাড়া ব্রিজের নির্মাণ কাজ চলার কারনে রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে কেবল মাত্র ফুটপাত দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে যা পূর্ব বগুড়ার কয়েক লাখ মানুষকে ভোগাচ্ছে।

তিনি বলেন, শহরের নবাববাড়ি সড়কে আল আমিন মার্কেটের উত্তর পাশ দিয়ে চেলোপাড়ার শীতলীতলা হয়ে একটি বাঁশের সাঁকো করলে মানুষের সমস্য দূর হতো। বর্তমান বাঁশের সাঁকোর উপর চাপ কম পড়তো এবং এটি মানুষের জন্যই ঝুকিমুক্ত হতো। তিনি ভাসমান বাঁশের সাঁকো বর্তমান স্থান থেকে তুলে এনে আলআমিন মার্কেটের পাশ দিয়ে দেওয়ার আহবান জানান।

একই এলাকার আরও কয়েক জন্য জানান, রাস্তা দখল করে যে ফলের দোকান রয়েছে তা উচ্ছেদ করলেও সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সমস্যা অনেকটা লাঘব হবে। বগুড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র এবং পূর্ব বগুড়া তথা ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পরিমল চন্দ্র দাস জানান, ব্রিজ নির্মাণ করতে রড সিমেন্ট রাখতে জায়গার প্রয়োজন আছে।

সড়ক ও জনপথ কাজের স্বার্থে রাস্তায় ম্যাটেরিয়ালস রেখেছে কিন্তু ভ্যাম্যমান ফল ব্যবসাযীরা দোকান বসিয়ে চলাচলের রাস্তা সরু করে ফেলেছে। এ কারণে পূর্ব বগুড়ার মানুষের যাতায়াতে কষ্ট হচ্ছে। তিনি আরও বলেন একেতো ফুটপাত সুরু তার উপর কিছু উৎসুক জনতা ফুটপাতের উপর দাড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ দেখে এতে ওই স্থানে সাধারণ মানুষের চাপ বাড়ছে।

তিনি সড়ক বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, উত্তর পাশে যে ভাসমান ব্রিজ করে দেওয়া হয়েছে তা তুলে আরও দক্ষিনে দিলে ভীর কমবে। পূর্ব বগুড়ার মানুষের যাতায়াতে সুবিধা হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS