ভিডিও

সারিয়াকান্দিতে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিচ্ছেন মানুষ, নিলামে বিক্রি প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৪, ০৯:০৬ রাত
আপডেট: জুন ১২, ২০২৪, ১০:২১ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : যমুনা নদীর ভাঙনের শিকার হয়েছে বগুড়ার সারিয়াকান্দির চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের শিমুলতাইড় গ্রাম। স্থানীয় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিচ্ছেন ভাঙনের শিকার এলাকাবাসী। যমুনায় বিলীনের হাত থেকে রক্ষা করতে শিমুলতাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাকা ভবন দেওয়া হয়েছে নিলামে।

কেউ তুলছেন ঘরের খাম, আবার কেউবা পরিবারের সকল তৈজসপত্র তুলছেন ঘোড়ার গাড়িতে। আবার গ্রামের বেশ কয়েকজন একত্র হয়ে ঘরের চালাসহ পুরো ঘর মাথায় করে নিয়ে যাচ্ছেন অন্য কোথাও। এ চিত্র উপজেলার চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের শিমুলতাইড় গ্রামে। গ্রামটি গত কয়েকবছর ধরেই যমুনা নদীর ভাঙনের শিকার।

কয়েকবার ভাঙার পর এর কিছু অংশ সোনাতলা উপজেলার সীমানার কাছাকাছি অবশিষ্ট ছিল। সেখানে প্রায় ২শ’ পরিবার বসতি গড়ে তুলেছিলেন। গ্রামটির এ শেষ সম্বলটুকুতেও গত বছর থেকে যমুনা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। এ গ্রামের একমাত্র শিমুলতাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করে।

সেখানে ফেলানো হয় জিও এবং টিও ব্যাগ। ফলে এ বিদ্যালয়টি নদী ভাঙনের হাত থেকে সাময়িক রক্ষা পায়। গত কয়েকদিনের পানি বৃদ্ধিতে এ বিদ্যালয়ের পাশে যমুনা নদীর ভাঙন শুরু হয়। এতে বিদ্যালয়ের পাশের প্রায় ৫০ মিটার এলাকা ধ্বংসে গেছে। ফলে বিদ্যালয়টি যমুনা নদীতে বিলীন হওয়ার পথে। যমুনায় যাতে বিদ্যালয়ের পাকা ভবনটি সম্পূর্ণ বিলীন না হয় তার জন্য এটি এক লাখ দুই হাজার টাকায় নিলামে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

নিলামপ্রাপ্ত হয়ে নিলামকারী গত সোমবার সকাল থেকেই স্কুলটির পাকাভবনটি ভাঙতে শুরু করেছে। এদিকে এখানে ভাঙন সৃষ্টি হওয়ায় সোমবার ভিটেমাটি ছেড়ে বাড়িঘর নিয়ে স্থানীয় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন এ গ্রামের মৃত আনিছুর রহমান শেখের ছেলে আব্দুল মালেক শেখ। এ গ্রামের মৃত আব্দুল কদ্দুসের স্ত্রী লাইলী খাতুন (৬৫)। গত ১৫ বছর আগে পক্ষাঘাত রোগে আক্রান্ত হয়ে তার স্বামী মারা গেছেন।

লাইলি খাতুন বলেন, এ জীবনে আমার শেষ সম্বল ভিটেমাটি ছাড়া আর কিছুই নাই। আমার এই শেষ সম্বলটুকু যদি ভেঙে যায় তাহলে বাড়িঘর নিয়ে ভেসে যাওয়া ছাড়া আমার কোনও উপায় নাই।

চালুয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বাদশা বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই যমুনা নদী শিমুলতাইড় গ্রামে ভাঙন শুরু করে দিয়েছে। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অতিদ্রুত এখানে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে গ্রামটি যমুনায় বিলীন হয়ে যাবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমান বলেন, গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে কিছু জিও এবং টিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করা হয়েছিল। সেখানে ভাঙন রোধে বড় কোনও প্রকল্পের প্রয়োজন। এ বিষয়ে একটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। একনেক’র অনুমোদন পাওয়া গেলে স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করা হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS