ভিডিও

সুন্দরগঞ্জে পশুরহাট বসানোকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও ইজারাদারের লোকজনের সংঘর্ষ

৩ রাউন্ড গুলি, পুলিশসহ আহত ১০ 

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৪, ১০:২৪ রাত
আপডেট: জুন ১২, ২০২৪, ১০:২৪ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের মজুমদার বাজারে কোরবানির পশুর হাট বসানোকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও ইজারাদারের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ, ৩ রাউন্ড শটগানের গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বুধবার (১২ জুন) বিকেলে মজুমদার বাজার সংলগ্ন পরিত্যক্ত জমিতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় হাট-বাজার চলে আসছিল। কোরবানির উপলক্ষে আজ বুধবার (১২ জুন) পশুর হাট বাসানো হয়। পশুর হাট অবৈধভাবে বসানো হয়েছে মর্মে বিভিন্ন মহলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পশুর হাট পণ্ড করে দেয়ার চেষ্টা করে।

এক পর্যায় ইজারাদারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাধে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। এতে এসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই মাসুদ রানা, কনস্টেবল মনির হোসেন, সোলায়মান হোসেনসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

হাট ইজারাদার ওবাইদুল ইসলামের ভাষ্য, পশুর হাট বসানোর ক্ষেত্রে কোন বিধি নিষেধ নেই, সে কারণে কোরবানির পশুরহাট বসানো হয়েছে। তারপরও কেন পশুর হাট বসানো যাবে না, সেই মর্মে একটি লিগ্যাল নোটিশ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দেয়া হয়েছে। এরপরও বেআইনিভাবে পশুর হাট পণ্ড করে দেয় পুলিশ।

থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহবুব আলম জানান, অনলাইন সেবা ৯৯৯ এ বিভিন্ন মহলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কোরবানির পশুর হাট না বসানোর জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু ইজারাদারের লোকজন পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে এবং ৪ পুলিশ সদস্যকে আহত করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম জানান, কেন মজুমদার হাটের ইজারাদার কোরবানির পশুর হাট বসাতে পারবেন না, সে মর্মে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপির মতামতের জন্য পাঠিয়েছি। কিন্তু মতামত পাওয়ার আগেই অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম, থানা আফিসার ইনচার্জ মো. মাহবুব আলম প্রমুখ।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS