ভিডিও

কুড়িগ্রামে ৩১টি পশুর হাটে পুলিশের কঠোর নজরদারি

নিরাপদ ঈদুল আজহা

প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৪, ১০:২২ রাত
আপডেট: জুন ১৫, ২০২৪, ০২:০১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহার সময় যত ঘনিয়ে আসছে কুড়িগ্রামে পশুরহাটগুলোতে ততই ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। এমন পরিস্থিতিতে পশুর হাটগুলোকে নিরাপদ রাখতে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন হাট পরিদর্শন করছেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম।

কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, হাটে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বিভিন্ন সমস্যা ও নিরাপত্তা বিষয়ে কথা বলেছি। তিনি বলেন, ঈদকে সামনে রেখে কোন কুচক্রিমহল যদি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করে তাকে যে কোন মূল্যে আইনের আওতায় আনা হবে।

এছাড়াও জেলার সকল থানা এলাকার বিভিন্ন হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোলরুম, জাল টাকা যাচাই মেশিন সহ ইজারাদার, ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলেন পুলিশ সুপার ও সংশ্লিষ্ট সার্কেল ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।

জেলা পুলিশ জানায়, আসন্ন ঈদে যেন কুড়িগ্রাম জেলার সব শ্রেণি পেশার মানুষ নির্বিঘ্নে হাটে এসে পশু ক্রয় করতে পারেন সেই লক্ষ্যে কুড়িগ্রাম জেলার প্রত্যেক পশুরহাটে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন, কন্ট্রোলরুম স্থাপন, উঁচু ভবন থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার, মাইকিং, জাল টাকার মেশিন দ্বারা অর্থ চেকসহ, চুরি ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি রোধে হাট, হাট সংলগ্ন এলাকা ও রাস্তায় সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।

জেলা সদরের সবচেয়ে বড় যাত্রাপুর হাটের ইজারাদার  জনি শেখ বলেন, হাটে পশু কেনা বেচা ভালো চলছে। বিভিন্ন সময় তো নানান ঘটনা ঘটে, তবে এবার এখন পর্যন্ত কোন ঘটনা ঘটেনি। আমাদের হাটটি পুলিশ নজরদারিতে রেখেছে।

অপরদিকে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে জেলার ৩১টি স্থানে পশুরহাট বসেছে। এর মধ্যে স্থানীয় হাট ২৫টি আর অস্থায়ী হাট ৬টি। এদিকে প্রাণিসম্পদ অফিসের পরামর্শে ২৮ হাজার খামারি ৩ লাখ ৬৪ হাজার গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া প্রস্তত করেছেন। জেলায় কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ১৬ হাজার পশুর।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS