ভিডিও

শেরপুরে নিখোঁজ শিশুর সন্ধানে করতোয়া নদীতে ডুবুরিদল

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৪, ০৯:১১ রাত
আপডেট: জুন ১৫, ২০২৪, ০৯:১১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরে নাহিদ হাসান (৫) নামে এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ধড়মোকাম এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সে ওই গ্রামের মামুনুর রশিদ মামুন ড্রাইভারের ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার সময় ধড়মোকাম গ্রামস্থ বাড়ির পাশে করতোয়া নদী সংলগ্ন সড়কের ওপর খেলাধুলা করার সময় নিখোঁজ হয় শিশু নাহিদ হাসান। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু শিশুটির সন্ধান মেলেনি।

একপর্যায়ে করতোয়া নদীতে শিশুটি নিখোঁজ হয়ে থাকতে পারে-এমন ধারণা থেকে পরিবারের লোকজন স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মীদের খবর দেন। এরপর তারা এসে করতোয়া নদীতে নেমে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।

তবে শিশুটির সন্ধান না পাওয়ায় তাদের রাজশাহী ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দলকে খবর দেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তারাও শনিবার সকাল ৯টা থেকে রাজশাহীর ডুবুরি দল দুপুর পর্যন্ত টানা চার ঘন্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হন। শিশুটিকে না পাওয়ায় অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেন। এদিকে ফায়ার সার্ভিসের অভিযানে নিখোঁজ শিশুটি উদ্ধার না হওয়ায় ঘটনাটি নিয়ে নানা প্রশ্ন ও রহস্যের জন্ম দিয়েছে।

স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না যে, শিশুটি নদীতে নিখোঁজ হয়েছে। তাই নদীতে সন্ধানের পরিবর্তে সম্ভাব্য জায়গায় খোঁজ-খবর নিতে হবে। কারণ মুক্তিপণের জন্যও শিশুটিকে অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে বলেও ধারণা তাদের।

শাহবন্দেগী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ একই মন্তব্য করে বলেন, নিখোঁজ শিশুর পরিবারকে থানায় গিয়ে পুলিশের সহযোগিতা নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া আপাতত কোনো পথ দেখছেন না বলে জানান তিনি।

জানতে চাইলে শেরপুর থানার ওসি রেজাউল করিম রেজা বলেন, ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে নদীতে পড়ে শিশুটি নিহত হয়েছে-এমন ধারণা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের নিয়ে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু নদীতে শিশুটির সন্ধান মেলেনি। তাই ঘটনাটির রহস্য উদঘাটনে ইতিমধ্যে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই রহস্যের জট খুলবে বলে জানান তিনি।

শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা বখতিয়ার উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, নদীতে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না পরিবারের লোকজন। এরপরও নদীতে দীর্ঘ সময় ধরে উদ্ধার অভিযান চালিয়েছেন তারা। এমনকি তাদের রাজশাহী থেকেও ডুবুরিদলকে আনা হয়। কিন্তু শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। তাই অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS