ভিডিও

বগুড়ায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে পশু বেচাকেনা

ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৪, ০৯:৩৮ রাত
আপডেট: জুন ১৫, ২০২৪, ০৯:৩৮ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : রাত পোহালেই পবিত্র ঈদ-উল-আযাহ। ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। গত পুরো সপ্তাহ জুড়ে বেচাকেনা চললেও শেষ সময়ে বগুড়া শহর ও শহরতলীর পশুহাটগুলো বেচাকেনায় জমজমাট আকার ধারণ করেছে। আজ শেষ দিনে আরও বেশি বেচাকেনার আশা করছেন ব্যবসায়ী ও খামারিরা।

বিক্রেতারা বলছেন, হাটে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। তবে খরচের তুলনায় তেমন দাম পাচ্ছেন না অভিযোগ তাদের। আর ক্রেতারা বলছেন, এবার পশুর দাম বেশি। জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্র জানায়, বগুড়ায় এবারের কোরবানির জন্য জেলার মোট ৪৮ হাজার ৪৫৩ জন খামারি তাদের পশু প্রস্তুত করেছেন।

গত বছর খামারির সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার ৩২৯ জন। এক বছরে জেলায় খামারি বেড়েছে ৪ হাজার ১২৪ জন। গত বছর কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত ছিল ৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৯৭টি, এবার তা ৭ হাজার ৮১৮টি বেড়ে প্রস্তুতকৃত পশুর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪১৫টি। প্রস্তুতকৃত পশুর সাথে এবার বেড়েছে কোরবানির পশুর চাহিদাও।

গত বছর পশুর চাহিদা ছিল ৭ লাখ ৪ হাজার ৪৬০টি, এবার তা ৮শ’টি বাড়িয়ে চাহিদা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৫ হাজার ২৬০টি। চলতি বছর জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদার বিপরীতে প্রস্তুতকৃত পশু বেশি থাকবে ২৯ হাজার ১৫৫টি। কোরবানির জন্য প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে গরু রয়েছে ২ লাখ ৭ হাজার ৪১, মহিষ রয়েছে ২ হাজার ২৬৬টি। মোট গরু-মহিষ রয়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার ৩০৭টি।

এছাড়াও ছাগল রয়েছে ৪ লাখ ২২ হাজার ২৫৭, ভেড়া ৩৯ হাজার ৮৫১টি। মোট ছাগল-ভেড়া রয়েছে ৪ লাখ ৬২ হাজার ১০৮টি। গতকাল শনিবার শহরতলীর সাবগ্রাম হাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাটে বিভিন্ন জাতের ও আকারের গরু আমদানি করেন ব্যাপারী, খামারিরা ও গৃহস্থরা।

দুপুরের পর থেকে পশু কেনাবেচা শুরু হয়। বড় গরুগুলো হাটে বিশেষভাবে রাখা ব্যবস্থা করা হয়। রাত পর্যন্ত বেচাকেনা চলবে বলে এ হাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ হাটে দেশি-বিদেশিসহ বিভিন্ন জাতের ও আকারের ছাগলও বিক্রি হয়।

দুপুর গড়াতেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে সরগরম হয়ে উঠে হাট প্রাঙ্গণ। হাটে ভেড়ার সরবরাহও রয়েছে। এবারের ঈদে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা থাকলেও বড় গরুর চাহিদা তুলনামূলক কম বলে জানান খামারিরা।

গরুর খামারি সাজেদুর রহমান বলেন, হাটে প্রচুর গরু, বেচাকেনায় বেশ। বড় গরুর ক্রেতা তুলনামূলক কম। তবে মাঝারি ও ছোট আকারের গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান। গরু ব্যবসায়ী খোরশেদ হোসেন বলেন, হাটে প্রচুর গরুর আমদানি।

বড় জায়গা হওয়ায় ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে পছন্দ করে পশু কিনছেন। বড় গরুর ক্রেতা কম হলেও মাঝারি ও ছোট গরুর বিক্রি বেশি। তবে যেসব বড় গরু হাটে এসেছে তাও বিক্রি হবে বলে আশা করছেন এই বিক্রেতা।

গরু ক্রেতা সোহরাব হোসেন বলেন, হাটে প্রচুর গরুর আমদানি হয়েছে। তবে বিক্রেতারা গরুর দাম বেশি চাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, হাট প্রাঙ্গণে কাদা থাকায় ঘুরে ঘুরে গরু কিনতে বেশ অসুবিধা হচ্ছে।

পাশাপাশি পশু কেনার পর হাটের ইজারাদার প্রতিটি গরুতে এক হাজার টাকা করে হাসিল আদায় করছেন, এছাড়া বিক্রেতারও কাছ থেকেও বাড়তি দুইশ’ টাকা আদায় করা হচ্ছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS