ভিডিও

কোরবানির মাংস নিয়ে দিনভর ঘুরলেন ইউএনও হুমায়ুন

প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৪, ১০:৪০ রাত
আপডেট: জুন ১৮, ২০২৪, ১১:১৩ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

 নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : ঈদের দিন গ্রামীণ বাজারে হঠাৎই থামলো ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি। রাস্তার পাশে যাত্রীর জন্য অপেক্ষারত রিকশা-ভ্যান চালকরা কিছুটা আতঙ্কে স্থান ত্যাগ করার চেষ্টা করে। প্রশাসনের ওই গাড়ি থেকে দুই ম্যাজিস্ট্রেট একসঙ্গে নেমে বললেন, একটু দাঁড়ান। আপনাদের জন্য কোরবানির মাংস এনেছি। এ কথা শুনেই দরিদ্র মানুষের মুখে অনিন্দ্য সুন্দর হাসি ফুটে ওঠে।

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার চার শতাধিক দরিদ্র পরিবারে জনপ্রতি কোরবানির মাংস পৌঁছে দিয়েছেন ইউএনও মো. হুমায়ুন কবির। তিনি দিনভর রিকশা-ভ্যান চালক, দিনমজুর ও দরিদ্রদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করা সবগুলো পরিবারও পেয়েছে কোরবানির মাংস।

No description available.

সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন দুপুর থেকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোছন, পৌরসভার ওমরপুর, বৈলগ্রাম ও নামুইট মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় দরিদ্র মানুষের খোঁজখবর নেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির। সঙ্গে ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোহান সরকার।

রিকশা ও ভ্যান চালকরা বলেন, তারা রাস্তার পাশে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। হঠাৎই ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি থামতে দেখে ভাবছিলেন ঈদের দিন রাস্তায় এসে অন্যায় হলো কিনা! গ্রামীণ রাস্তায় এবং বাজারে রিকশা-ভ্যান চালক ও দিনমজুর কাউকে দেখলেই প্রশাসনের গাড়ি থেমে যায়। দরিদ্র মানুষের হাতে কোরবানির মাংস তুলে দেন কর্মকর্তা।

পবিত্র ঈদুল আজহায় অসহায় ও দরিদ্র পরিবারে অসচ্ছলতার কারণে পশু কোরবানি দেওয়া সম্ভব হয় না। এমনও পরিবার আছে, মাংস কিনে খাওয়ার সামর্থ্য তাদের নেই। যে বাড়িতে কোরবানি হয়, ঈদের দিন হাতে ব্যাগ নিয়ে কেউ কেউ সেই বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে যান। দরিদ্র সেই মানুষগুলোর হাতে কোরবানির মাংস পৌঁছে দেন ইউএনও হুমায়ুন কবির।

এছাড়া ঈদের আগেরদিন রোববার উপজেলার বর্শন আশ্রয়ণ, চাপিলাপাড়া, মথুরাপুর ও রায়পুর কুস্তা আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত পরিবারে মাংস বিতরণ করা হয়। কোরবানির ঈদে কেউ যেন মাংস বঞ্চিত না থাকে সেদিকে খোঁজ রাখছেন ইউএনও। মাংস হাতে পেয়ে দরিদ্র পরিবারে আনন্দাশ্রু বইতে দেখা গেছে।

থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন বলেন, ইউএনও স্যার ধৈর্য ধরে সবার কথা শোনেন। যেন প্রত্যেক দরিদ্র মানুষের কাছে আপনজন। তিনি নিজের পরিবারে যতোটা সময় দেন, তারচেয়ে বেশি দরিদ্রদের কথা ভাবেন। কোরবানির মাংস পৌঁছে দিয়ে দরিদ্রদের মুখে হাসি ফোটানোর মধ্য দিয়ে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন।

নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির বলেন, রিকশা-ভ্যান চালক, দিনমজুরসহ চার শতাধিক দরিদ্র মানুষের মাঝে মাংস বিতরণ করেছি। খোঁজখবর রাখছি, কোরবানির ঈদে কোনো দরিদ্র পরিবার যেন মাংস বঞ্চিত না থাকে। 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS