ভিডিও

সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা

সিলেটে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র সচল রাখার চেষ্টা সেনাবাহিনীর

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৪, ১০:১৪ রাত
আপডেট: জুন ১৯, ২০২৪, ১০:১০ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন


ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে সুরমা, কুশিয়ারা ও সারি নদীর পানি। যে কারণে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে নগরের বিভিন্ন এলাকাসহ জেলার ১৩ উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
সুরমার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ঝুঁকিতে পড়েছে সিলেট বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের বরইককন্দি উপকেন্দ্র।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেল থেকে উপকেন্দ্রটিতে পানি ঢোকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এতে সেখান থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের ঝুঁকি রয়েছে।
বিষয়টি জানতে পেরে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন। তিনি বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে কেন্দ্রটি চালু রাখতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চান।
মেয়রের সহযোগিতা আহ্বানে সাড়া দিয়ে সেনাবাহিনীর একটি টিম বরইককন্দি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটি রক্ষায় কাজ শুরু করেছে। সেখানে বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ দেওয়ার কাজ চলছে।
সিলেটের বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির বলেন, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটিতে পানি ওঠার উপক্রম হলেও বন্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বিদ্যুৎ সরবরাহ যাতে বিঘ্নিত না হয় সে জন্য আগেভাগেই বালুর বস্তা ফেলে সুরক্ষা প্রাচীর তৈরিতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হয়। তারা সন্ধ্যা থেকে কাজ করছে।
এদিকে, বরিইকান্দি উপকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ২০২২ সালের বন্যার ছবি ছড়িয়ে দিয়ে অনেকে অপপ্রচার করছেন। একইভাবে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পুরনো ছবি ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা গুজবে কান না দিতে অনুরোধ করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের বন্যায় বরিইকান্দি উপকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় সুরমা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে নগরের উপকণ্ঠে কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটিও সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সরবরাহ সচল করা হয়। 

সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা
বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেটে পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) থেকে পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া না পর্যন্ত সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, বন্যা পরিস্থিতির জন্য সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এর আগে ৩০ মে বন্যার জন্য সিলেটের সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। পরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ৭ জুন থেকে খুলে দেয়া হয়েছিল পর্যটনকেন্দ্রগুলো।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে সিলেটে আবার বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সিলেটের তিনটি নদীর ৬টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া আরও কয়েকটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS