নিউজ ডেস্ক: দাদার সঙ্গে হুইল চেয়ার ঠেলে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করা শিশু সাগরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দীর্ঘ পাঁচ দিন নিখোঁজের পর সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন বিকেলে ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ার একটি ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, ফেনী শহরের পরিচিত ভিক্ষুক সিরাজুল হক। প্রায় সময় দেখা যেত প্রতিবন্ধী নাতি সাগরকে তার হুইল চেয়ারের সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে ভিক্ষা করতেন। পালক দাদাকে ছেড়ে যেন পালিয়ে যেতে না পারে এজন্যই শিকলে বেঁধে রাখা হয়েছিল তাকে। শিকল খুলে দেওয়ার পর হারিয়ে যায় সাগর। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে উদ্ধার করা মরদেহটি সাগরের।
দাদার সঙ্গে ভিক্ষার সময় শিশুটির গলায় ঝোলানো থাকতো একটি কার্ড। সেখানে লেখা ছিল নাম: সাগর চৌধুরী, মাতা: আমেনা বিবি, পিতা: গোলাপ চৌধুরী, বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধিতা, জন্মতারিখ: ২ জানুয়ারি ২০১৭, পশ্চিম উকিলপাড়া, ফেনী। আর পালক দাদার নাম সিরাজুল হক।
৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ সিরাজুল হক তখন জানিয়েছিলেন, সাগর এতিম। মা-বাবা কেউ নেই। আমি তাকে লালন-পালন করে বড় করেছি। সে কথা বলতে পারে না। সে যদি হারিয়ে যায় আমি তাকে কোথায় খুঁজব? সেজন্য শিকল দিয়ে আটকে রাখি।
সাগরকে নিয়ে তিনি ফেনী শহরের দাউদপুর ব্রিজ এলাকায় বসবাস করতেন।
সিরাজুল হক বলেন, গত বুধবার শিকল খুলে দেওয়ার পর সে (সাগর) পালিয়ে যায়। আমি হাঁটতে না পারায় তাকে খুঁজে নিয়ে আসতে পারিনি। ভেবেছিলাম সে ফিরে আসবে, তাই থানায় অভিযোগ করিনি। কিন্তু সে লাশ হয়ে ফিরলো।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধারের খবরটি নিশ্চিত করে বলেন, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।