ভিডিও

সিলেটে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৪, ০১:০২ দুপুর
আপডেট: জুন ২০, ২০২৪, ০১:০২ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

নিউজ ডেস্ক: সিলেটে নৌকাডুবি ও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৯ জুন) রাত ও বিকেলে সিলেট নগরী এবং গোয়াইনঘাট উপজেলায় পৃথক ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় নৌকা ডুবে নিখোঁজের চার ঘণ্টা পর এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উপজেলার কাপনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

নৌকাডুবিতে নিহত যুবকের নাম মোহাম্মদ সাদাত হোসেন। তিনি উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর প্রথম খণ্ড গ্রামের শিব্বির আহমদের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, মোহাম্মদ সাদাত হোসেন ও তার এক বন্ধু ছোট্ট একটি নৌকা নিয়ে কাপনা নদীতে ঘুরতে আসেন বন্যার পানি দেখতে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে তারা কাপনা নদী হয়ে বাড়ি ফেরার উদ্দেশে রওনা হন। এসময় নদীর প্রবল স্রোতের কারণে স্থানীয় লংপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় আসার পর তাদের নৌকা ডুবে যায়। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা রাসেল আহমদকে উদ্ধার করলেও স্রোতের তোড়ে তলিয়ে যান সাদাত। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলের পাশ থেকে সাদাতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

গোয়াইনঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মেহেদী হাসান মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে বুধবার রাতে একই উপজেলার গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দি এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নাজমিন আক্তার (১০) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে বিছনাকান্দি ইউনিয়নের হাদারপাড় বাজার এলাকার উপরঘাম গ্রামের আবদুল্লাহ মিয়ার মেয়ে। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, রাতে শিশুদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছিল নাজমিন আক্তার। একপর্যায়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে আইনি কার্যক্রম শেষে ওই শিশুর পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়ায় মন্দিরের পানির পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মিনতি রানী (৪০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ঝালোপাড়ার নৃসিংহ জিউর আখড়ার পার্শ্ববর্তী বাসার বাসিন্দা।

স্থানয়ীরা জানান, বিকেলে মন্দিরের পানির পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হন। দ্রুত স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার কদমতলি ফাঁড়ির ইনচার্জ দেবাংশু পাল।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS