ভিডিও

সৌদি খেজুর চাষ করে সাফল্য পেলেন  পঞ্চগড়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নুরু

প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৪, ০৪:২৪ দুপুর
আপডেট: জুন ২০, ২০২৪, ০৯:২৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সামসউদ্দীন চৌধুরী কালাম, পঞ্চগড় : পৃথিবীর সকল মানুষের কাছেই প্রিয় ফল খেজুর। বিভিন্ন নামে ও দামে এই ফলটি বিক্রি হয় বিশ্বজুড়েই। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে বাণিজ্যিকভাবে প্রচুর খেজুর চাষ করে থাকে। তবে বিগত কয়েক দশক ধরে এই ফলটি চাষ হচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। বাংলাদেশেও বিভিন্ন স্থানে কেউ শখের বশে আবার কেউ বাণিজ্যিকভাবে এই ফলটি চাষ করছেন। এবার মরুর ফল খেজুর চাষ করে প্রথমবারের মত সাফল্যের মুখ দেখেছেন পঞ্চগড়ের ক্ষুদ্র কাপড় ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম নুরু। পঞ্চগড় পৌর এলাকার উত্তর জালাসিপাড়া গ্রামে নিজ বাড়ির ভেতর বাইরে চার বছর আগে লাগানো ১৩টি গাছের মধ্যে এবার আজোয়া জাতের একটি গাছে ফলন এসেছে। প্রথমবারের মত ফলন কম হলেও আগামী মৌসুম থেকে আরও বেশি গাছ ও বেশি পরিমাণ ফলন পেতে আশাবাদি তিনি। 

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নুরু জানান, ইউটিউবে দেখে খেজুর চাষে আগ্রহী হন তিনি। চার বছর আগে ঢাকার এক বন্ধুর কাছ থেকে মরিয়ম ও আজোয়া জাতের কিছু বীজ সংগ্রহ করেন তিনি। ঢাকা থেকে আনা বীজ প্যাকেটে দেয়ার পর প্রায় আড়াইশ’ বীজ থেকে চারা বের হয়। এর মধ্যে উভয় জাতের ১৩টি চারা জমিতে লাগিয়েছেন। আজোয়া জাতের একটি চারা গাছে প্রথমবারের মত একটি বাদায় ফল এসেছে। আরও কয়েকটি গাছে এবার ফুল এলেও শেষ পর্যন্ত ফল আটকায়নি। তিনি বলেন, খেজুর ফল মূলত মরুর ফল। সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যে এই ফল প্রচুর পরিমাণে হয়। পঞ্চগড় জেলার মাটিতেও প্রচুর পরিমাণে বালু রয়েছে। তাই আমার বিশ্বাস ছিল এখানে খেজুর হবে। হয়েছেও তাই। প্রথমবারের মত চার বছরের মাথায় একটি গাছে ফল ধরেছে। আমার মনে হয় আগামী বছর আমার বেশ কয়েকটি গাছে খেজুর ফল ধরবে। আমি মরুর ফলটি পঞ্চগড়ে ছড়িয়ে দিতে চাই। দুইশ’র মত চারা প্রস্তুত করে রেখেছি। 

এ নিয়ে কথা হয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পঞ্চগড়’র উপ পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল মতিনের সাথে। তিনি জানান, ডোমেস্টিক ভ্যারাইটি হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ছাড়াও বিশ্বের অনেক দেশেই এখন খেজুর বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। পঞ্চগড় জেলার মাটি বেলে দোআঁশ হওয়ায় এখানেও খেজুর চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খেজুর চাষ লাভজনক করা খুবই মুশকিল। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এখানকার খেজুরের ফুল থেকে ফল আসে বর্ষায়। আর ফল পাকে আগস্টের দিকে। তখনও পুরো বৃষ্টিপাত থাকে। ফল পাকার সময় বৃষ্টিতে ভিজে ফলে ফাঙ্গাসের সৃষ্টি হয়। এ সময় অনেক ফল ঝরে পড়ে। শুকনো মৌসুমে হলে কোন সমস্যা হত না। তবে অনেকে পলিথিন মুড়িয়ে বা বিভিন্নভাবে ফল আটকানোর চেষ্টা করছে। কেউ হয়তো লাভবান হচ্ছে। তবে অনেকেই লাভের মুখ দেখতে পারছে না। এছাড়া বীজ থেকে গজানো চারার প্রায় ৯০ ভাগই পুরুষ গাছ হয়ে থাকে। তাই চারা কেনার সময় ফলন্ত গাছ থেকে বের হওয়া কন্দ বা চারা সংগ্রহ করে লাগালে সেই গাছে ফল আসবে বলে তিনি জানান। 
    



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS