সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) থেকে বৃষ্টিপাত না থাকায় কমতে শুরু করেছে নদ-নদী ও হাওরের পানি। পানি নামতে শুরু করায় জনমনে ফিরেছে স্বস্তি। গত ২৪ ঘণ্টায় সুরমার পানি ২০ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ শুক্রবার (২১ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের অধিকাংশ সড়ক ও বাসা বাড়ি থেকে নেমে গেছে বন্যার পানি। তবে এখনও প্লাবিত আছে শহর ও গ্রামের নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট। আগামী ২৪ ঘণ্টা সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জের হাওরের সড়কে পানি আটকে সিলেট অঞ্চলে বন্যা হচ্ছে কিনা, তা এই বর্ষাতেই খতিয়ে দেখা হবে। আগামী বছর যেন এই অঞ্চলের মানুষের বন্যাতে ভোগান্তি না হয়, সেজন্য দ্রুত প্রকল্প নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে সুনামগঞ্জ পৌরশহরের পানি কিছুটা কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে ছাতক, দোয়ারাবাজার, মধ্যনগর, শাল্লা, ধর্মপাশা, শান্তিগঞ্জ এলাকার বন্যা পরিস্থিতি। দিন দিন আশ্রয়কেন্দ্রে বাড়ছে ভিড়। আশ্রয়কেন্দ্রে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট ও সুপেয় পানির অভাব।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রশাসনসহ যারা ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন তা খুব কম। যে সমস্ত এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো সেই সকল এলাকায় সবাই সহায়তা করছে বলে অভিযোগ অনেকের। দুর্গম এলাকায় কেউ যাচ্ছে না। তারা আরও জানিয়েছেন পানি কমলেও ভোগান্তি কমতে আরও সময় লাগবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।