ভিডিও

সিলেটে চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৪, ০৬:৩৭ বিকাল
আপডেট: জুন ২৪, ২০২৪, ০৬:৩৭ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

সিলেট প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। জন্মের পর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে রেফার করেন জরুরি বিভাগের ডাক্তার মামুুন মিয়া।

এদিকে অ্যাম্বুলেন্স বিকল থাকায় শিশুকে কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের অক্সিজেন সাপোর্টে রাখার অনুরোধ জানিয়ে বিকল্প অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থার চেষ্টা করছিলেন তার বাবা। ডাক্তার সে সময়টুকু না দিয়ে অক্সিজেন সাপোর্ট ছাড়াই তাদের যেতে বললে পথেই সিএনজিতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শিশুটি।

নবজাতকের বাবা উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের আলিম উদ্দিন ডাক্তারদের দায়ী করে বলেন, রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমার সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে বিশ্বনাথ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাই। তখন তাকে একজন মিড ওয়াইফ রিসিভ করেন। ছিলেন দুইজন পুরুষ ডাক্তারও। কিছুক্ষণ পর বাইরে থেকে কিছু ওষুধ কিনে আনতে বললে এনে দেই। এক পর্যায়ে রাত ৮টার দিকে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে আমার একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। পাঁচ মিনিট পর তাকে নিচ তলায় নিয়ে যেতে দেখি। জিজ্ঞাসায় জানান নবজাতকের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। কিছুক্ষণ জরুরি বিভাগের অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়। তখনও নড়াচড়া করছিল বাচ্চাটি।

পরে রেফার করা হয় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে। আমরা অ্যাম্বুলেন্স চাইলে তারা জানান সেটি বিকল। নিজ ব্যবস্থায় যেতে বলেন। তখন আমরা শিশুটিকে জরুরি বিভাগের অক্সিজেন সাপোর্টে রাখার অনুরোধ জানিয়ে বিকল্প অ্যাম্বুলেন্স আনার সময় চাই। কিন্তু ডাক্তার আমাদের সে সময়টুটু দেননি। রাখতেও দেওয়া হয়নি জরুরি বিভাগের অক্সিজেন সাপোর্টে। তখন উপায় না দেখে অক্সিজেন সাপোর্ট ছাড়াই সিএনজিযোগে আমরা ওসমানী হাসপাতালের উদ্দেশে বের হই। কিন্তু বিশ্বনাথ উপজেলা সদরে পৌঁছার আগেই আমার বাচ্চাটি মারা যায়। এ দায় সম্পূর্ণ ডাক্তারের। একটু সহযোগিতা করলে হয়তো অক্সিজেন সাপোর্টসহ বাচ্চাটিকে নিয়ে বের হতে পারতাম বলে জানান তিনি।

অভিযুক্ত ডাক্তার মামুন মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নবজাতকের তখন এনআইসিইউতে চিকিৎসা জরুরি ছিল। যেটি আমাদের ওখানে নেই। তাই রেফার করা হয়। তখন তারা কেউ আমাদের কোনো কিছু বলেননি।

এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেন সুমন বলেন, উনারা বাড়িতে চেষ্টা করে অন্তিম সময়ে হাসপাতালে প্রসূতিকে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারি করানো হয়। কিন্তু বাচ্চার অবস্থা অবনতি হলে তাকে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আমাদের অ্যাম্বুলেন্স বিকল আর সরকারি অক্সিজেন সাপোর্ট অন্য গাড়িতে বাইরে দেওয়ারও বিধান নেই।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS