ভিডিও

দেবীগঞ্জে সরবরাহ কমে যাওয়ায় বেড়েছে সুপারির দাম

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৪, ০৫:৫৯ বিকাল
আপডেট: জুন ২৫, ২০২৪, ০৬:০১ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় পাইকারি বাজারে বেড়েছে সুপারির দাম। আকার ও জাতভেদে প্রতি পণ সুপারিতে দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ২৫০ টাকা। 
আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে উপজেলার দেবীগঞ্জ বাজারের সুপারির হাট ঘুরে দেখা যায়, বাড়ির গাছ কিংবা বাগানের সুপারি বিক্রি করতে আনা চাষিরা অপেক্ষা করছেন কাঙ্খিত দামে সুপারি বিক্রির জন্য। পাইকাররা এসব সুপারি কিনে ছোট, বড় আলাদা আলাদা করে স্তুপ করে রেখেছেন।

সুপারি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ অঞ্চলে সুপারি বিক্রি হয় পণ ও কাহন এককে। প্রতি পণে ৮০টি সুপারি থাকে এবং ১৬ পণ সুপারিতে এক কাহন হয়। মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় চাহিদার তুলনায় বাজারে সুপারি কম।

এক মাসের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে পাইকারি বাজারে ছোট সাইজের এক পণ সুপারি ১৯০ থেকে ২২০ টাকায়, মাঝারি সাইজের সুপারি ২৪০ থেকে ২৭০ টাকা এবং বড় সাইজের সুপারি ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জাকারিয়া ইসলাম নামে এক সুপারি ব্যবসায়ী বলেন, দেবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট থেকে সুপারি কিনে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্নস্থানে সুপারি পাঠান তিনি। প্রতি হাটে ২০০ থেকে ২৫০ পণ পর্যন্ত সুপারি কেনেন। তবে সুপারির জোগান কম হওয়ায় দাম এখন বেশি।

সুপারি বিক্রি করতে আসা ওসমান আলী নামে এক চাষি বলেন, বাড়ির সাথেই ৩৫/৪০টা সুপারির গাছ আছে। প্রতি বছর ভালো দামে বিক্রি করতে পারলেও এবার শুরু থেকেই দাম না পাওয়ায় লাভ হয়নি। আব্দুর রাজ্জাক নামে আরেক চাষি বলেন, এবার শুরু থেকেই সুপারির দাম কম ছিলো, তাই শেষ সময়ে দাম বাড়লেও খুব একটা লাভ হবে না।

দেবীগঞ্জ বাজারের সুপারির হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি সামসুল আলম বলেন, সপ্তাহের শনিবার এবং মঙ্গলবার বসে সুপারির হাট। বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসে সুপারি বিক্রি করতে। প্রতি হাটে ৫০০ থেকে ৭০০ পণ পর্যন্ত সুপারি কেনা-বেচা হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নাঈম মোর্শেদ বলেন, দেবীগঞ্জ উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া সুপারি চাষের জন্য উপযোগী। এখানে বড় পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে সুপারি চাষ করা না হলেও গ্রাম এলাকায় প্রায় সব বাড়িতেই সুপারির গাছ রয়েছে। এসব গাছ ও বাগানে উৎপাদিত সুপারি স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্নস্থানে বিক্রি হচ্ছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS