ভিডিও

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বেড়েছে পটল চাষ দামে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৪, ০৮:৩৪ রাত
আপডেট: জুন ২৫, ২০২৪, ০৮:৪৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রতিকূল আবহওয়া সত্ত্বেও পটলের ভাল ফলন হয়েছে। এখন জমিতে জমিতে চলছে পটল উঠানো আর পরিচর্যার কাজ। ভালো ফলনের পাশাপাশি বাজারে দর ভালো পাওয়ায় খুশি চাষিরা। প্রতিকূল আবহাওয়ায় অন্য সবজির ফলনে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পটলের ভাল ফলন ও দাম ভাল পেয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।

প্রতিবছর উপজেলার গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের, কালিকাডোবা, অনন্তপুর, মালগুদাম পারগয়ড়া, বিলভর্তি, ছয়ঘড়িয়া, বালুভরা, কামারদহ ইউনিয়নের মাস্তা, ফাঁসিতলা, রসুলপুর, ঘোড়ামারা, সতিতলা, কোচাশহর ইউনিয়নের ধর্মা, চানপাড়া, ভাগ্যগোপাল, দরবস্ত ইউনিয়নের বগুলাগাড়ী, সাতানা বালুয়া, মারিয়া, কাজীপাড়া, গন্ধববাড়ী, গোশাইপুর, রহলা, রামনাথপুর, পৌর এলাকার কালিকডোবা, ববনপুন, চরপাড়াসহ আরও ৭টি ইউনিয়নে এবছর পটলের ভাল আবাদ হয়েছে।

কার্তিক মাসে জমিতে মাচা করে লাগানো পটল চৈত্র মাস থেকে ফসল উঠানো শুরু হয়। চাষের শুরুতেই খরায় পানির অভাবে উৎপাদন কিছুটা ব্যহত হলেও পরে বৃষ্টিপাত ও আবহাওয়ায় পটলের বেশ ভালো ফলন হয়েছে। সেই সাথে বাজার দর ভালো পাওয়ায় পটলের আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতিমণ পটল ১ হাজার ২শ’ টাকা আর পাইকারী বাজারে সাড়ে ৭শ’ টাকা মণ পটল বিক্রি হচ্ছে।

পটলের ভাল আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এই এলাকার কৃষকরা। গতবছর এই উপজেলায় মাত্র ৬৪ হেক্টর জমিতে পটল চাষ হলেও এবার ১০২ হেক্টর জমিতে ২ হাজার  জন কৃষক পটল চাষ করেছেন। দরবস্ত ইউনিয়নের গোশাইপুর গ্রামের সোরাফ আলী বলেন, উৎপাদনের শুরুতেই পাইকারী বাজারে প্রতিমণ পটল ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। বাজারে এখনও ৭শ’ থেকে সাড়ে ৭শ’ টাকা মণ দরে পটল বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা থকে আসা পাইকারী সবজি ক্রেতা রহমত আলী জানান, প্রতি সপ্তাহে ৩ ট্রাক পটল ঢাকার বাজারে পাঠাতে হয়। আগে দাম বেশি থাকায় তেমন ব্যবসা ভাল হয়নি এখন দাম কমে যাওয়ায় অনেকটা লাভবান হওয়া যাচ্ছে।

গোবিন্দগঞ্জের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, পটলের ফলন শুরুর ৬ মাস পর্যন্ত উঠানো ও বিক্রি করা যায়। তাই এর চাষাবাদে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-সহকারীসহ সকল কর্মকর্তারা পটল চাষিদের পরামর্শ প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিচ্ছেন।

উন্নতজাত সম্প্রসারণ সার ও বীজ সহায়তার পাশাপাশি ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করলে আগামীতে এই এলাকায় পটল চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS