ভিডিও

সালিশকারীকে হত্যার রায় : ৬ জনের ফাঁসি, ১০ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৪, ০৭:৫৫ বিকাল
আপডেট: জুন ২৬, ২০২৪, ০৭:৫৫ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লায় এক সালিশকারীকে হত্যা ১৩ বছর পর ছয়জনের মৃত্যুদন্ড ও ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দন্ডপ্রাপ্ত সবাইকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এই রায় দেন।

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. মাছুম, তাজুল ইসলাম, মো. মোস্তফা, মো. কাইয়ুম, মো. কাইয়ুম, মো. তবদুল হোসেন। তাদের মধ্যে রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন মো. কাইয়ুম ও মো. তবদুল হোসেন।

যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. নানু মিয়া, মতিন মিয়া, সাইদুল ইসলাম, বাবুল মিয়া, সফিকুল ইসলাম, মো. সফিকুল ইসলাম, মোসলেম মিয়া, মো. হেলাল মিয়া, বিল্লাল হোসেন, আবদুল আউয়াল।

রায় ঘোষণার সময় সাইদুল ইসলাম ও বিল্লাল হোসেন ছাড়া বাকিরা উপস্থিত ছিলেন।

এই মামলা থেকে দুজনকে খালাস দেওয়া হয়। তারা হলেন হিরণ মিয়া ও মনিরুল ইসলাম। বিচারের সময় ফুল মিয়া ও সেলিম নামের দুই আসামির মৃত্যু হলে আদালত মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়।

 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ জাকির হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার নথির বরাতে তিনি জানান, ২০১১ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি ব্রাহ্মণপাড়া ছোট দুশিয়া এলাকায় সালিশে এক পক্ষে রায় না দেওয়ায় নুরুল হককে হত্যা করা হয়। স্থানীয় ফরিদ মিয়ার সঙ্গে আরেক স্থানীয় মাছুমের দীর্ঘদিনের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ছিল। এ ঘটনার হাজী নুরুল হকের নেতৃত্বে কয়েক বার সালিশ হয়। সালিশ দরবারের বৈঠকে ফরিদ মিয়ার দখলকৃত ভিটি বাড়ি মাছুম মিয়ার দখল থেকে ফরিদ মিয়াকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তিনি রায় দেন। এরপর থেকেই আসামিরা ক্ষোভে বিভিন্ন সময়ে তাকে ভয়ভীতিসহ হুমকি দিচ্ছিল। এ ঘটনার পর তিনি কুমিল্লা থেকে বাড়ি ফেরার পথে সবজুপাড়া শিদলাই রোড এলাকায় এলে মাছুমের পক্ষের লোকজন তাকে হামলা করে। মাছুমের হাতে থাকা লোহার বল্লম দিয়ে তার বুকে পরপর চারটি আঘাত করে। এ ছাড়াও ঘটনাস্থলে উপস্থিত মাছুমের পক্ষের লোকজন তাকে অতর্কিত হামলা করে তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

আইনজীবী বলেন, এ ঘটনার পর তার ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম ব্রাহ্মণপাড়া থানায় মামলা করেন। নুরুল হক হত্যা মামলার এজাহারে মোট ২২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ১২ জন আসামি ছিলেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। মামলার বিচার চলাকালীন দুই আসামি মারা যান। দুজনকে খালাস প্রদান করেছেন বিচারক। রায় প্রদানের সময় আদালতের এজলাসে ১০ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন। অপর ৬ আসামি পলাতক রয়েছেন। এ মামলায় মোট ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS