ভিডিও

রংপুরের বদরগঞ্জে বনভূমির  অর্ধেকই বেদখলে

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৪, ০৫:০০ বিকাল
আপডেট: জুন ২৭, ২০২৪, ১১:৪০ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

বদরগঞ্জ(রংপুর)প্রতিনিধি: রংপুরের বদরগঞ্জে মোট বনভূমির প্রায় অর্ধেকই বেদখল হয়েছে। বনভূমির বিশাল জায়গায় কেউবা করছেন চাষাবাদ। আবার কেউ কেউ গড়ে তুলেছেন বাসস্থান। অভিযোগ রয়েছে, বনকর্তাদের ম্যানেজ করে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরেই বনের জায়গা নিজেদের দখলে নিয়েছেন।

স্থানীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ওসমানপুর, খাগড়াবন্দ, দলুয়া মৌজা, লোহানীপাড়া ইউনিয়নের লোহানীপাড়া মৌজা ও কালুপাড়া ইউনিয়নের কালুপাড়া মৌজায় সরকারি বনভূমি অবস্থিত। কাগজে-কলমে মোট ১ হাজার ৩৭ একর ২৯ শতক জমি সরকারি বনভূমির আওতাধীন রয়েছে। এর মধ্যে ওসমানপুর মৌজায় রয়েছে ৫১৩ একর ৫৩ শতক, খাগড়াবন্দ মৌজায় ৪২ একর ১২ শতক, দলুয়া মৌজায় ৬৬ একর ২২ শতক, লোহানীপাড়া মৌজায় ৪১৩ একর ২ শতক এবং কালুপাড়া মৌজায় ২ একর ৪০ শতক জমি রয়েছে। এর মধ্যে ওসমানপুর মৌজায় বেদখল হয়েছে ২১৩ একর জমি, খাগড়াবন্দ মৌজায় ২০ একর, দলুয়া মৌজায় ৪০ একর, লোহানীপাড়া মৌজায় ১০৯ একর এবং কালুপাড়া মৌজায় পুরো ২ একর ৪০ শতক জমিই বেদখল হয়েছে। সর্বমোট ৩৮৪ একর বনভূমির জায়গা বেদখল হয়েছে।

 এলাকার লোকজনের দাবি- এই কেতাবি হিসেবের বাইরেও বনভূমির বিশাল জায়গা বেদখল হয়েছে। অর্থাৎ মোট বন ভূমির প্রায় অর্ধেকই প্রভাবশালীদের কব্জায় রয়েছে। তারা বনভূমির জায়গা নিজেদের দখলে নিয়ে চাষাবাদসহ নানা কাজে ব্যবহার করছে। অনেকেই সেখানে বাসস্থান গড়ে তুলে দিব্যি বসবাস করছে। অভিযোগ রয়েছে, বনকর্তাদের ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরেই বনভূমির এই বিশাল জায়গা দখলদাররা নিজেদের দখলে নিতে সক্ষম হয়েছে। যখন যে কর্মকর্তা এসেছেন দখলদাররা তখনই তাদের ম্যানেজ করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে বনভূমির প্রায় অর্ধেক জমি বেহাত হলেও তাদের বিরুদ্ধে বন কর্তারা কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে পারেননি।

 তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা বন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম  বলেন, লোকবলের অভাবের কারণেই সঠিক সময়ে সঠিক কোন পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়নি। কারণ একজন মাত্র কর্মকর্তা দিয়েই চলছে বদরগঞ্জ, মিঠাপুকুর ও লোহানীপাড়া বনবিটের কাজ। এক ব্যক্তিকেই অফিস সামলাতে হয় পাশাপাশি বন পাহারা দিতে হয়। ফলে গাছ ও জমি কোনটাই সঠিকভাবে রক্ষা করা সম্ভব হয় না। তারপরও গাছচোর ও অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মামলা হয়েছে। যা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, অবৈধ দখলদারদের কব্জায় থাকা ১শ’ একর চাষাবাদের জমি উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। এই ১শ’ একর জমি উদ্ধার হলে পরর্তীতে বাকী জমি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS