ভিডিও

বগুড়ার সোনাতলায় নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, মানুষের মনে আতঙ্ক

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৪, ০৭:৪৫ বিকাল
আপডেট: জুন ২৭, ২০২৪, ১১:৩৭ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলায় যমুনা ও বাঙ্গালী নদীতে পানি কমার সাথে সাথে ভাঙন শুরু হয়েছে। ফলে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ, গাছপালা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এতে করে নদীকূলীয় মানুষের মাঝে ভাঙ্গন আতঙ্ক বিরাজ করছে। উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত  নেওয়া হয়েছে।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়নের ধারাকান্তপুর, মির্জাপুর, আমতলী, পূর্ব সুজাইতপুর, বালুপাড়া, তেকানী চুকাইনগর ইউনিয়নের সরলিয়া, মহবতের পাড়া, খাবুলিয়া, জন্তিয়ার পাড়া, মহেশপাড়া এলাকায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ওই এলাকার শতশত বিঘা ফসলি জমি, গাছপালা ও ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এমনকি কিছু কিছু এলাকায় নদী কূলীয় মানুষদেরকে বাড়িঘর ভেঙ্গে নৌকা ও ভটভটি যোগে অন্যত্র নিয়ে যেতে দেখা গেছে। এদিকে উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের দক্ষিণ বয়ড়া-ঠাকুরপাড়া বুড়ামেলা সড়কটি গত কয়েক বছরে সুখদহ নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় আশপাশের ১৭ টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় সংসদ সদস্যের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যমুনা নদী ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এ.কে.এম লতিফুল বারী টিম বলেন, যমুনা ও বাঙ্গালী নদীতে পানি কমার সাথে সাথে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এতে করে মানুষের মাঝে নদী ভাঙ্গন আতঙ্ক বিরাজ করছে।

তেকানী চুকাইনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের বেশি ভাগ গ্রাম নদীর চরে। প্রকৃতির সাথে লড়াই সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হয় তাদের। নদী ভাঙ্গন তাদের নিত্য সাথী। এবার নদীতে পানি কমার সাথে সাথে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা শারমিন বলেন, নদীতে পানি কমার পর কিছু কিছু এলাকায় ভাঙ্গনের কথা শুনা যাচ্ছে। নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্যবস্থা নিবে।

এ বিষয়ে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন এসও বলেন, এটা একটা ব্যয় বহুল প্রকল্প। যমুনা নদীর ভাঙ্গন রোধে কোন বরাদ্দ নেই।

এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান বলেন, সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলার বাঙ্গালী নদীর ১৯ টি পয়েন্টে প্রায় ৪শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। সুখদহ নদীর ৭শ’ মিটার (জোড়গাছা ইউনিয়নের দক্ষিণ বয়ড়া- ঠাকুরপাড়া বুড়ামেলা) সড়কটি আবার করাসহ ভাঙ্গন রোধে  সিসি ব্লক স্থাপনে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS