৩০ টন বালু বোঝাই ট্রাকের
সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার গাবতলী উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ নারুয়ামালা থেকে সোনাতলা উপজেলার ভেলুরপাড়া সড়কে প্রতিনিয়ত ৩০ টন বালুবোঝাই ট্রাকের অবাধ চলাচলে সড়কটি বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। পুরো সড়কটি এখন খানা-খন্দকে ভরপুর। সামান্য বৃষ্টিতে ভাঙা সড়কে পানি জমে ঘটছে দুর্ঘটনা।
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নারুয়ামালা তিনমাথা মোড় থেকে সোনাতলা উপজেলার ভেলুরপাড়া স্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত খানা-খন্দকে পরিণত হয়েছে। সড়কটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
এই সড়ক দিয়ে গাবতলী, সোনাতলা, সারিয়াকান্দি, শিবগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ ও সাঘাটা উপজেলার হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন পরিবহনে যাতায়াত করেন। সামান্য বৃষ্টিতে ওই সড়কের অসংখ্য স্থানে পানি জমে থাকে। এতে করে পরিবহনসহ মোটরসাইকেল চালকদের দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে।
এ বিষয়ে মহিচরণ বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রায়হান কবীর, সুখানপুকুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. হুমায়ন কবীর ইমরানসহ অনেকেই বলেন, সড়কটি খানা-খন্দকে পরিণত হওয়ায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে সময় ও অর্থ দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বেশি ব্যয় হচ্ছে। এছাড়াও সঠিক সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পরিবহনের ঝাঁকুনিতে প্রতিনিয়ত শরীর ও কোমড়ে ব্যথা হচ্ছে।
এ বিষয়ে গাবতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অরুণ কান্তি রায় সীটন বলেন, তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তায় খানা-খন্দকগুলো ভরাট করা হয়েছিল। বৃষ্টির কারণে আবারও সেগুলো আগের অবস্থায় ফিরে গেছে।
এ বিষয়ে সোনাতলা উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবুল হক বলেন, রাস্তাটির পাশে দু’টি বালু মহল থাকায় রাস্তাটিতে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর ৩০ টনের বালুবোঝাই ট্রাক অবাধে চলাচলের ফলে রাস্তাটির এমন অবস্থা হয়েছে। রাস্তাটির স্থায়ীত্ব বাড়াতে ১৫ কিলোমিটার রাস্তা সিসি ঢালাই করতে হবে। এজন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ এলেই টেন্ডার আহ্বান করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।