ভিডিও

সিলেটে বন্যায় বেঁড়িবাঁধে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২৪, ০৭:০৪ বিকাল
আপডেট: জুন ৩০, ২০২৪, ০৭:০৪ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

সিলেটে বন্যায় বেড়িবাঁধের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলার সুরমা, কুশিয়ারাসহ অন্যান্য নদ-নদীর ২৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ১৫ কোটি টাকার বেশি। এছাড়া সিলেট অঞ্চলে বন্যার ঝুঁকির মুখে রয়েছে আরো ৫০/৬০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ।
 
সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা ও সারিগোয়াইন নদীর তীরবর্তী প্রায় ৩০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত মে মাসের শেষের দিকে ও জুনের মাঝামাঝি সময়ে দু’দফা বন্যায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। উজানের পাহাড়ি ঢলে নদী তীরবর্তী বেড়িবাঁধ উপচে গ্রামের পর গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। সুরমা, কুশিয়ারা ও সারিগোয়াইন নদীর তীরবর্তী ১০টি উপজেলা এবং সুরমা তীরবর্তী সিটি করপোরেশনের ২৩টি ওয়ার্ড এ সময়ে বন্যাকবলিত হয়। পানিবন্দি হয়ে পড়েন ৮ লাখের বেশি মানুষ। বানের পানির তোড়ে সিলেট জেলার জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুরসহ বিভিন্ন উপজেলায় অন্তত ৭০টি স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেড়িবাঁধ। কোথাও কোথাও বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। ফসলি জমি তলিয়ে যায়, পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাস্তাঘাট, প্লাবিত হয় বাড়িঘর।
 
সিলেট সদর উপজেলার মুক্তিরচকের আনহার মিয়া বলেন, এবারের বন্যার পানি ফুলেছে বেশি। নদী ও তীরবর্তী বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। পাশাপাশি উজানের পানির প্রচণ্ড স্রোতের কারণে বেশি এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
একই এলাকার সমছু মিয়া বলেন, বাঁধ কোনো কাজে আসেনি। নদীর পানি বাঁধ উপচে রাস্তাঘাট, বাড়িঘর ফসলি জমি তলিয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে আগামীতে বাঁধ নির্মাণের পানির লেবেল মেইনটেন করা উচিত। অন্যথায় এ সকল বাঁধ কোনো কাজেই আসবে না।  
 
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, নদী উপচে পানি প্রবেশ করায় বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ২৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ, যা সংস্কারে ১৫ কোটি টাকার মতো ব্যয় হবে। বন্যার পানি পুরোপুরি নেমে গেলে বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস।
 
তিনি বলেন, বাঁধের যে দিক থেকে পানি প্রবেশ করে সেদিক মূলত ভাঙে না। পানি গড়িয়ে যে দিকে নামে সেদিক থেকেই ভাঙনের শুরু হয়। সুরমা, কুশিয়ারা ও সারিগোয়াইনসহ অন্য নদীর বেড়িবাঁধ ৭০টি স্থানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা সংস্কারে ১৫ কোটি টাকার মতো খরচ হবে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
 
এইচআরটিবি এর চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, বেড়িবাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় শঙ্কিত বন্যার্তরা। ভবিষ্যতে পানির সর্ব্বোচ্চ উচ্চতা বিবেচনায় বেড়িবাঁধ উঁচু করা না হলে বন্যা থেকে মানুষকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS