ভিডিও

বগুড়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষের ভুলে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ভোগান্তি

প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২৪, ০৯:৩৬ রাত
আপডেট: জুলাই ০১, ২০২৪, ০৬:৫৮ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : কলেজ কর্তৃপক্ষের ভুলে বগুড়ায় এইচএসসি পরীক্ষা দিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হয়েছে আরজিনা আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী।

বগুড়া সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের ওই শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্রে ৭টি বিষয়ের পরিবর্তে মাত্র দুটি বিষয় উল্লেখ থাকায় তাকে এই ভোগান্তির শিকার হতে হয়। অবশেষে বোর্ডের বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে পরীক্ষা শুরুর দুই ঘণ্টা পর আরজিনাকে পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হয়।

জানা গেছে, আরজিনা আক্তার এবার বগুড়া সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ফরম পূরণ করেন। তার রোল নম্বর- ৮০১৭৭৪, রেজিস্ট্রেশন নম্বর- ১৮১৮৮৬৭৩৫৭। বাংলা (২), ইংরেজি (২), হিসাব-বিজ্ঞান (২), ব্যবস্থাপনা (২), ফিন্যান্স (২), অর্থনীতি (২ চতুর্থ বিষয়) এবং তথ্য ও প্রযুক্তিসহ ৭টি বিষয়ে ১৩টি পরীক্ষার জন্য আরজিনা ফরম পূরণ করেন।

কিন্তু ব্যবস্থাপনা ও ফিন্যান্স মাত্র এই দুটি বিষয়ে উল্লেখ করে আরজিনার প্রবেশপত্র আসে। আজ রোববার (৩০ জুন) বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ কেন্দ্রে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে গিয়ে আরজিনা ভোগান্তিতে পড়েন। তার যে কক্ষে সিট পরেছে ওই কক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষক প্রবেশপত্রে শুধুমাত্র দুটি বিষয়ের উল্লেখ দেখে তাকে পরীক্ষা দেওয়া থেকে বিরত রেখে এই বিষয়ে তার কলেজের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

আরজিনা তাৎক্ষণিক সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজে গেলে ওই কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানার পর রাজশাহী বোর্ডের প্রধান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বোর্ডের বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে আরজিনাকে পরীক্ষা দেওয়া অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর বেলা ১২টার দিকে আরজিনা পরীক্ষায় বসেন।

এই ব্যাপারে আরজিনা জানান, ২০২৩ সালেও তিনি এইচএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন। কিন্ত সাতটি পরীক্ষা দেওয়ার পর আর পরীক্ষা দেননি। এবার একই বিষয়গুলো উল্লেখ করে ফরম পূরণ করেন। অনলাইনে ফরম পূরণ করতে ওই কলেজের আইসিটি বিভাগের একজন তাকে সহযোগিতা করেন। প্রায় এক সপ্তাহ আগে কলেজ থেকে প্রবেশপত্র নিয়ে এলেও তিনি ভালোভাবে প্রবেশপত্রটি খেয়াল করেননি।

পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে প্রথম বুঝতে পারেন তার ফরমে ৭টি বিষয়ের উল্লেখ না থেকে মাত্র ২টি বিষয়ের উল্লেখ ছিলো। এটা জানার পর তাৎক্ষণিক মহিলা কলেজে গিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর তারা বোর্ড এবং আজিজুল হক কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে তার পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।

পরীক্ষায় বসতে বসতে তার বেলা ১২টা বেজে যায় এবং পরীক্ষা বেলা ২টা পর্যন্ত দেওয়ার সুযোগ পান বলে আরজিনা জানান। এই বিষয়ে বগুড়া সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ রেজাউন নবী বলেন, বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিক আমরা বোর্ডের প্রধান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করি।

মৌখিকভাবে তার বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে আগে মেয়েটিকে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরীক্ষা শেষে তার পূর্বের প্রবেশপত্র জমা নিয়ে অনলাইনে আজই বোর্ডে তার সংশোধনী প্রবেশপত্র পাঠানোর জন্য কলেজের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পরীক্ষার প্রায় ১৫দিন আগে থেকে আমরা প্রবেশপত্র শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছি।

প্রবেশপত্র দেওয়ার সময় পরীক্ষার্থীদের বলা হয়েছে ‘তোমরা ভালো করে প্রবেশ পত্র দেখে নিও, কোন যদি ভুল থাকে তবে সেটি আগেই জানিয়ে দিও। ছাত্রীটি যদি প্রবেশপত্র আগে দেখে নিয়ে আমাদের জানাতো তাহলে হয়তো আর এই বিড়ম্বনা হতো না। বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের কেন্দ্র সচিব এবং ওই কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কামাল হোসেন জানান, আমি বিষয়টি শুনেছি।

যার ভুলেই হোক এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। তবে ছাত্রীটি পরে যে পরীক্ষা দিতে পেরেছে এটাই বড় কথা। রাজশাহী বোর্ডের প্রধান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ আরিফুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি জানার পর আগে ছাত্রীটির পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

এরপর ওই প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বলেছি, তার আগের প্রবেশপত্র জমা দিয়ে নতুন প্রবেশপত্র নেওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS