ভিডিও

বগুড়ার ধুনট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মিলছে বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসক সেবা

প্রকাশিত: জুলাই ০১, ২০২৪, ০৭:৫৭ বিকাল
আপডেট: জুলাই ০১, ২০২৪, ০৭:৫৭ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর ভান্ডারবাড়ি বাঁধে আশ্রিত মোফেলা বেগম (৩৮) তার চোখ লাল হয়ে গেছে, চুলকায়ও। চোখের এ সমস্যার জন্য এসেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। বর্হিবিভাগে তিন টাকা দিয়ে টিকিট নিয়েছেন। এ হাসপাতালের দো’তলায় কমিউনিটি আই সেন্টার। সেখানে চোখের চিকিৎসার দায়িত্বে আছেন দু’জন সিনিয়র নার্স।

তারা মোফেলাকে আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে দেখলেন। এরপর বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ শামিমা সুলতানার সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মোফেলার সঙ্গে কথা বললেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে ওই চিকিৎসক অনলাইনে ব্যবস্থাপত্র পাঠিয়ে দিলেন। বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হলো মফেলাকে।

যমুনা পাড়ের মোফেলার মতো এভাবে একে একে চিকিৎসা দেওয়া হলো বিলকিস, রায়হান, রাহেলা, হাসেম আলী ও রোদেলা নামে এক শিশুকে। আজ সোমবার (১ জুলাই) এভাবে অন্তত ২০ জন চোখের রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এই কমিউনিটি আই সেন্টারের দায়িত্বে আছেন এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ নার্স শিউলী খাতুন ও জাকিয়া খাতুন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ দু’জনকে ঢাকার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে এনেছে। এখানে প্রায় ছয় মাস ধরে চক্ষুরোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। নার্স শিউলী খাতুন জানলেন, এখানে চোখ পরীক্ষার যাবতীয় যন্ত্রপাতি আছে। এগুলো দিয়ে রোগীদের চোখের পরীক্ষা করা হয়। অনলাইনে রোগীকে নিবন্ধন করে তার যাবতীয় বিষয় অনলাইনে পাঠানো হয়।

রোগীর এ তথ্যগুলো দেখে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞরা ব্যবস্থাপত্র অনলাইনে পাঠিয়ে দেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে এ ব্যবস্থাপত্র পাওয়া যায়। গ্লুকোমা, কর্নিয়া ও ছানিসহ জটিল রোগের জন্য ওই চিকিৎসকেরা শজিমেক হাসপাতালে যেতে বলেন। সেখানে উপজেলার আই সেন্টারের জন্য আলাদা কাউন্টার আছে। ওই হাসপাতালে চোখের অস্ত্রোপচারসহ সব ধরনের চিকিৎসা বিনামূল্যে দেওয়া হয়।

জাকিয়া খাতুন বলেন, শজিমেক হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রতিদিন নিয়োজিত থকেন আই সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। এই আই সেন্টারে রোগীদের চিকিৎসা, যাবতীয় ওষুধ ও চশমা বিনামূল্যে দেওয়া হয়। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এভাবে চোখের রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রতিদিন গড়ে ২০ জন রোগী আসে এখানে চিকিৎসা নিতে। রোগীদের অনলাইনে নিবন্ধন করা থাকে। তাই পরবর্তী সময়েও আগের ব্যবস্থাপত্র দেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিবাকর বসাক বলেন, এক সময় উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে চোখের বিশেষ কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল না। তবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে সারাদেশের মতো এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উন্নত চক্ষু চিকিৎসার জন্য কমিউনিটি আই সেন্টার চালু করা হয়েছে।

এতে করে গ্রামগঞ্জের সাধারণ হতদরিদ্র রোগীরাও বিনামূল্যে চিকিৎসাসহ ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাচ্ছেন। এটি সত্যিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অনন্য উদ্যোগ।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS