কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একজন নিহতের ঘটনায় ৬৯ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার আসামিরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর কুমার দত্তের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে বিচারক তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কোর্ট ইন্সপেক্টর শামসুল আলম সিদ্দিকী এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ১৬ জুন আধিপত্য বিস্তারের জেরে উপজেলার মৌটুপি গ্রামের কর্তা বাড়ি ও সরকার বাড়ির লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে কর্তা বাড়ির নাদিম কর্তা (৫৫) নামে একজন আহত হন। পরে নাদিম কর্তাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থা গুরুতর দেখে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ জুন নাদিমের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর খবরে ওই দিন বিকেলে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হন। এ সময় শতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
এ ঘটনায় ২৪ জুন নিহতের ভাই বাকী কর্তা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাসহ ৮৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও ১০ / ১৫ জনকে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী বাকী কর্তা বলেন, ‘সরকার বাড়ির চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। ৫৪ বছর যাবৎ তারা আমাদের অত্যাচার নির্যাতন খুন করে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো আপস হবে না।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।