ভিডিও

গোবিন্দগঞ্জে পরিত্যক্ত জমিতে সমন্বিত পদ্ধতিতে আউশ ধান চাষে লাভের আশা চাষীদের

প্রকাশিত: জুলাই ০১, ২০২৪, ১০:২৬ রাত
আপডেট: জুলাই ০১, ২০২৪, ১০:২৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পরিত্যাক্ত জমিতে সমন্বিত পদ্ধতিতে আউশ ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। বোরো ও আমন ধানের মাঝামাঝি সময়ে এ ধানের আবাদ হয়। তবে বোরো আবাদের পর আমন হয়না এমন পতিত জমিতেও এবার আউশ চাষ করা হচ্ছে। বৃষ্টি নির্ভর আর স্বল্প খরচ হওয়ায় আউশ ধান চাষে লাভবান হওয়ার আশা কৃষকদের।

উপজেলায় বোরো-আমন ধান আবাদের মাঝামাঝি সময়ে পতিত পরে থাকত অনেক জমি। এখন  এসব জমি আউশ ধান চাষের আওতায় এসেছে। এতে করে দুই ফসলী জমি গুলো তিন ফসলী জমিতে পরিণত হয়েছে।
 কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে উপজেলায় এবার  ১৪শ ৪২ হেক্টর  জমিতে  আউশ ধান  চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়াও চলতি বছর আউশ মৌসুমে গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার খলসী চাঁদপুরে প্রায় ৪৫ জন কৃষক সমন্বিত পদ্ধতি অনুসরণ করে একই সাথে প্রায় ৬০ বিঘা পতিত জমিতে আউশ চাষ করছেন। এমন সমন্বিত আবাদে লাভবান হওয়ার আশা করছেন তারা। পৌর সভার খলসি এলাকার কৃষক অজুর্ণ কুমার বলেন, অপেক্ষাকৃত নীচু ও বন্যা প্রবণ হওয়ায় এসব জমিতে আমন হয়না।

তাই বোরো ধান কাটার পর দীর্ঘ সময় পতিত পরে থাকতো। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও প্রণোদনা সহয়তা পাওয়ায় এর্বাই প্রথম আউশ ধানের চাষ করেছি। কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, এ এলাকায় প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে আউশ ধান চাষ। এ কারণে এক ফসলি জমি দুই ফসলি আর দুই ফসলি জমি তিন ফসলি জমিতে পরিনত হচ্ছে।

গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা, বিলাস কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন স্থানীয় জাতের চেয়ে উফশি নতুন জাত আউশ ধানের ফলন অনেক বেশি, সেই সাথে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি নেই আর বৃষ্টির পানিতে এই আবাদ হয় বলে এর সেচ খরচ কম লাগায় এ ধান চাষে লাভবান হওয়ার হবেন কৃষকরা। এতে করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার কথাও জানান তিনি।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান বলেন আউশ ধান চাষে কৃষকদের কৃষি প্রণোদনাসহ প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ সহয়াতা দেয়া হচ্ছে। তবে স্বল্প সময়ে কম খরচে এই ফসল ঘরে তোলা  যাওয়ায় কৃষকদের মাঝে  সারা পাওয়া যাচ্ছে।

জেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, গত বছর জেলায় ১৪ হাজার ৩১৩ হেক্টর জামিতে আউশের চাষ হয়। তবে চলতি বছর কৃষি বিভাগ ১৮ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে আউশ ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার সম্ভাব্য চালের লক্ষ্যমাত্রা ৬১ হাজার ৫শ’ ৭২ মেট্রিক টন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS